বিসিবি নির্বাচন
‘হারের সম্ভাবনা দেখলেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা আমাদের অভ্যাস’

আসন্ন বিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগও করা হয়েছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়া প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। একটি বিষয় নিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিসিবি নির্বাচনের এই উত্তপ্ত হাওয়া। হয়েছে বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন। আকারে-ইঙ্গিতে নির্বাচনে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দিকে। সেসব বিষয় স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা সেসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, আইসিসি ও বিসিবির গঠনতন্ত্র মেনেই নির্বাচন হচ্ছে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘ইতোমধ্যে এটা নিয়ে আদালতেও গেছে একটা বিষয়। তবে আমাদের দিক থেকে আমরা চেষ্টা করছি যে, আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী বিসিবির যে গঠনতন্ত্র আছে, সেটাকে ঠিক রেখেই আমরা নির্বাচন আয়োজন করতে।’
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখলেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলা বাংলাদেশের অভ্যাস জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ বিতর্কমুক্ত রেখে একটা নির্বাচন করতে চাই। কাউকে নির্দিষ্ট করে বলছি না, এটা আমরা সবাই। আমাদের প্র্যাক্টিস যে, যেই হারার কোনো সম্ভাবনা থাকে বা হেরে যাবে মনে করে, তাদের নির্বাচন নিয়ে একটা প্রশ্ন তোলার ইয়ে (অভ্যাস) থাকে। তবে দেখতে হবে এটার মেরিট আছে কি না।’
গত ২১ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে অনিয়মের অভিযোগ আনেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। সেই সংবাদ সম্মেলনে আকারে-ইঙ্গিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপের অভিযোগ আনা হয়। তবে আজ সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা সবার সঙ্গে কথা বলেছি, এই যে দখল-টখল বা ব্যাড প্র্যাক্টিস এগুলো সবসময় এড়িয়ে চলি সবদিক থেকে। আপনারা দেখেছেন যে, সবাই বলে থাকে- মন্ত্রণালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করেছে, ক্রীড়া সংস্থা থেকে কারা আসবে। মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করলে তো প্যাটার্নটা আপনারা বুঝতে পারতেন। কোথাও আমার পরিচিত বা আমার আত্মীয় বা কেউ কেউ বলেন, আমি কোনো পলিটিক্যাল পার্টির সঙ্গে জড়িত তারা যদি আসতো, তাহলে আপনি বলতে পারতেন।’
পরে কুমিল্লা জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে কাউন্সিলর হওয়া সংগীত শিল্পী আসিফ আকবরের উদাহরণ টেনে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আসিফ আকবর ভাই এক জায়গা থেকে এসেছেন কাউন্সিলর হয়ে। ওনাকে তো আমরা চিনি বিএনপিপন্থি অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে, গায়ক হিসেবে। আমি এক জায়গা থেকে দেখলাম যে মীর হেলাল সাহেব এসেছেন। তো এটা যদি কন্ট্রোলড হতো, তাহলে তো তারা আসতে পারতেন না।’