তামিমকে অন্যের কথায় কান না দিতে পরামর্শ ক্রীড়া উপদেষ্টার

আসন্ন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম ইকবাল। নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেট পাড়া। তার বড় একটা জায়গা জুড়েই আছে তামিমের নাম। কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনে করে নানা অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তার সেসব অভিযোগের জবাব দিয়ে শোনা কথায় কান না দিতে বলেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া।
এবারের নির্বাচনে ওল্ড ডিওএইচএস থেকে কাউন্সিলর হয়েছেন তামিম। তার কাউন্সিলরশিপের বিরুদ্ধে আপত্তি জমা হয়েছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ছিল তার শুনানি। শুনানি শেষে নিজের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তামিম। অভিযোগ করেছিলেন, ষড়যন্ত্র করে বাদ দেওয়া হবে তাকে।
আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তামিমের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমি একটা মিডিয়াতে দেখলাম যে তামিম ভাই বললেন যে, উনার কাউন্সিলরশিপ থাকবে কিনা এটা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কই, আজকে তো মনে হয় কাউন্সিলরশিপ চলে আসছে। ওইখানে কি দেখছেন যে কাউকে বাদ দেওয়া হয়েছে বা এরকম কিছু?’
তামিমকে কাউন্সিলরশিপ চলে যাওয়ার কথা অন্য কেউ বলেছেন বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ। তাই অন্যের কথায় কান না দিয়ে, তামিমকে কাগজে-কলমে বিশ্বাসী হতে বলেছেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তামিম ভাই যেটা নিউজ হলো, আমি দেখলাম ওইখানে তো তেমন কোনো পয়েন্ট আসলে আমি দেখি নাই। তো এটা যাওয়ার একটা শঙ্কা বা অনেকে অনেকের কানে অনেক কিছু দেয় যে আপনাকে বোধহয় বাদ দিয়ে দিবে। তো ওই জায়গা থেকে... বাট আপনি তো কাউন্সিলর লিস্ট দেখছেন এখন। আপনাকে তো কথা বলতে হবে অন পেপার কী আসতেছে, সিদ্ধান্তটা কী আসতেছে তার উপরে।’
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন মানেই তো মুখোমুখি অবস্থা। নির্বাচন যদি আপনি মনে করেন যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে না, মুখোমুখি অবস্থা হবে না, তাহলে এটা তো ঠিক না। একটা জিনিস হচ্ছে দেখার বিষয় হচ্ছে আমরা পক্ষপাতহীন এবং একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে কিনা। সেটা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।’
এখন পর্যন্ত বিসিবি নির্বাচনে সভাপতি পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন দুজন—বর্তমান বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। নির্বাচনে দুই জনের পাল্লাই সমান ভারী বলে মনে করেন আসিফ মাহমুদ।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আগে কি হতো যে, একজন প্রেসিডেন্ট হবে প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছে একজনের জন্য সব আয়োজন হতো। এবার তো সেরকম না, এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এখানে দুইজনেরই পাল্লা যথেষ্ট ভারী। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে যে আসবে, তাকে মেনে নিতে কারো কোনো সমস্যা থাকা উচিত না।’