লড়াই করেও নাইটের কাছে হেরে গেল বাংলাদেশ

নারী বিশ্বকাপে শক্তিশালী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াইটা জমিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণে একটা সময় পর্যন্ত জয়ের স্বপ্নটাই দেখাচ্ছিল নিগার-মারুফারা। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান ইংলিশ ব্যাটার হিদার নাইট। ১০৩ রানে ৬ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে তিনি একাই টেনে নিয়ে গেলেন জয়ের বন্দরে।
তবে গতকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) ম্যাচের ফলাফলটা বাংলাদেশের পক্ষেও আসতে পারতো। নাইটের দুটি আউটের সিদ্ধান্ত ম্যাচের ভাগ্যটা বদলে দিয়েছে। শূন্য রানে নাইটের ক্যাচ নেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, আম্পায়ারও আঙুল তোলেন। তবে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বেঁচে যান নাইট।
এরপর ১৩ রানে আরও একবার তার ক্যাচ নেন স্বর্ণা আক্তার। তবে এবারও বেঁচে যান টিভি আম্পায়ার ভারতের গায়াত্রী ভেনুগোপালানের কল্যাণে। যথেষ্ট প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে আউট দেননি।
তৃতীয় আম্পায়রের সিদ্ধান্তে দুইবার বেঁচে যাওয়া নাইট এরপর হতাশায় ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। ১১১ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে টাইগ্রেসদের স্বপ্ন ভেঙে ইংলিশদের জয় এন দেন তিনি।
এর আগে টসে হেরে শুরুর ব্যর্থতা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটি ভাঙতেই আবারও ব্যাটিং ধ্বসে পড়ে বাংলাদেশ। ২০০ ছোঁয়ার আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত রাবেয়া খানের ঝড়ো ইনিংসে ১৭৮ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ।
১৭৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ড। ১০৩ রানেই তারা ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
ইংল্যান্ডের ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন মারুফা আক্তার। ফেরান ওপেনার অ্যামি জোন্সকে (৩ বলে ১)। সপ্তম ওভারে দ্বিতীয় হানা দেন মারুফাই। এবার ফেরান আরেক ওপেনার টমি বেউমাইন্টকে। ১৭ বলে ১৩ রান করে ফেরেন তিনি।
মারুফার দুর্দান্ত শুরুর পর কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের বোলারদের অপেক্ষা বাড়াচ্ছিল ইংল্যান্ড। সেই খেলাতে প্রাণ ফিরিয়ে আনলেন স্পিনার ফাহিমা খাতুন।
প্রায় ১৩ ওভার বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নেয় ইংল্যান্ড। তৃতীয় উইকেটে ৪০ রানের জুটিতে ম্যাচ নিজেদের করে নিচ্ছিলেন দুই ব্যাটার নাইট ও অধিনায়ক স্কিভার ব্রান্ট।
এরপরই ইংল্যান্ড শিবিরে হানা দেন ফাহিমা। তিন উইকেট তুলে নেন নিয়ে চাপে ফেলে দেন ইংলিশদের। ১৭ ওভারে ফেরান দুর্দান্ত খেলতে থাকা ব্রান্টকে (৪১ বলে ৩২)। এরপর উইকেটে দাঁড়াতে দেননি ডাঙ্কলি (৩ বলে ০) ও ইমা ল্যাম্বকে (১২ বলে ১)।
এতে ১০০ পার করার আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। উইকেটে বেশ ভালো স্পিন হচ্ছে। সেটিকেই কাজে লাগাচ্ছিলেন অধিনায়ক নিগার।
তবে সপ্তম উইকেটে নাইট ও চার্লি ডিনের জুটির কাছে পরাস্ত হতে হয়েছে নিগারদের। এই দুজনের ১০০ বলে ৭৯ রানের জুটিতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। দারুণ এক লড়াই করেও স্বপ্ন ভাঙে বাংলাদেশের।