শেষের ঝড়ে ২১৩ রানের সংগ্রহ বাংলাদেশের

এই উইকেটে রান কম হবে, তা জানতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। বাংলাদেশের ব্যাটাররাও বড় রানের পিছু ছোটেননি। গোটা ম্যাচেই ব্যাট হাতে সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেষ দিকে অবশ্য হাত খুলে খেলেছেন মিডল অর্ডার। তাতে আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ২১৩ রান।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেটে থিতু হতে না হতেই সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার সাইফ হাসান। টানা ১৪ বল ডট খেলে পঞ্চম ওভারে আকিল হোসেনের বলে স্লগ খেলে ছক্কা মেরে চাপমুক্ত হতে চেয়েছিলেন তিনি। পরের বলেই স্লিপে জাস্টিন গ্রিভসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফ। ১৬ বলে ৬ রান করেন সাইফ।
ওয়ানডাউনে নেমে ১১তম ওভারেই গুড়াকেশ মোতির ফাঁদে পড়েন হৃদয়। মোতির হাওয়ায় ভাসিয়ে করা বল হৃদয় মিড অনে থাকা ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে মারতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় পয়েন্টে থাকা আকিলের হাতে। এতেই ১৯ বলে ১২ রান করে ফেরেন হৃদয়।
নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে সৌম্য সরকার এগোচ্ছিলেন। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। অ্যালিক আথানাজের বলে ব্রেন্ডন কিংয়ের তালুবন্দি হয়ে শান্ত ফেরেন ২৫ বলে ১০ রানে। ৬৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শান্তর বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সৌম্য। বিদায় নেন অঙ্কনও। ৩৫ বলে ১৭ রান করে আথানাজের বলে শেরফান রাদারফোর্ডের হাতে ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে। আকিলের বলে খারি পিয়েরের হাতে ক্যাচ তুলে সৌম্যও বিদায় নেন ৮৯ বলে ৪৫ রানে।
মাঝে মোতির শিকার হয়ে ২৬ বলে ১৪ রান করে ফেরেন নাসুম আহমেদ। মন্থর ব্যাটিংয়ে যারপরনাই হতাশ করা বাংলাদেশের রানের চাকায় গতি আনেন নুরুল হাসান সোহান। দুই চার ও এক ছয়ে ২৪ বলে ২৩ রান করে মোতিকে ফিরতি ক্যাচ দেন সোহান। ব্যাট হাতে এদিনও জ্বলে ওঠেন রিশাদ হোসেন।
ক্যারিবীয় বোলারদের এলোমেলো করেন চার-ছক্কার ঝড় তুলে। সমান তিনটি করে চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ। অধিনায়ক মিরাজ অপরাজিত থাকেন ৫৮ বলে ৩২ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে মোতি নেন তিন উইকেট। আতানাজে ও আকিল পান দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০ ওভারে ২১৩/৭ (সাইফ ৬, সৌম্য ৪৫, হৃদয় ১২, শান্ত ১৫, মাহিদুল ১৭, নাসুম ১৪, সোহান ২৩, মিরাজ ৩২*, রিশাদ ৩৯*; আকিল ১০-১-৪১-২, চেজ ১০-২-৪৪-০, পিয়েরে ১০-০-৪৩-০, মটি ১০-০-৬৫-৩, আথানেজ ১০-৩-১৪-২)