বয়সভিত্তিক দল নিয়ে কাজের সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত আসিফ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক হওয়ার পর প্রথমবার মিরপুরে এসেছেন আসিফ আকবর। গায়ক আসিফ একসময় ছিলেন ক্রিকেটার। দেশের ক্রিকেটের অফিসিয়াল থিম সং ছিল, ‘বেশ বেশ বেশ সাবাশ বাংলাদেশ।’প্রথম থিম সংয়ের গায়কও আসিফ।
ক্রিকেটের সঙ্গে সখ্যতা এবার আরও গভীর হবে। সর্বশেষ বিসিবি নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন আসিফ। এতদিন ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশে ফিরে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আসেন বিসিবি কার্যালয়ে। বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ মুখোমুখি হন গণমাধ্যমের। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ নিয়ে কথা বলেন তিনি।
আসিফ বলেন, ‘এখন একটা সুযোগ আসছে কাজ করার। খুবই গুরুত্বপূর্ণ জায়গা, বয়সভিত্তিক। দায়িত্বটা পাওয়াতে মনে হচ্ছে অনেকদিন পর একটা জাক পেলাম। বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ, যেটা বাংলাদেশের জন্য খুব দরকার।’
এই কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং, ‘এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন—চ্যালেঞ্জ কেন? আমি নিজেও তো বয়সভিত্তিক পর্যায়ের খেলোয়াড়। আমি নিজেই অনূর্ধ্ব-১৬ থেকে আসছি। গায়ক হিসেবে এটা চ্যালেঞ্জিং। সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে এটা আমার জন্য একটা রেগুলার রুটিন। আপনি এবার যেভাবে দেখেন।’
এর আগে এনটিভি অনলাইনে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে আসিফের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল দায়িত্ব পাওয়ার পর দেশের ক্রিকেটের কোন কোন জায়গাগুলোতে সবার আগে গুরুত্ব দেবেন?
জবাবে আসিফ বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে যে সমসাময়িক সমস্যা, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য, এর মূল কারণ হচ্ছে মাঠমুখী না হওয়া। এই মাঠমুখী না হওয়ার ফলে আমাদের বাচ্চারা অন্য লাইনে হাঁটছে। সেক্ষেত্রে তাদের একটা গাইডলাইন দিলে সুবিধা হবে। কীভাবে তাদের সঙ্গে কাজ করতে পারি বা তারা কী চায়, এই পালসগুলি আমি জানি। এইজ লেভেলে আমরা যদি কাজগুলো শুরু করি, প্রত্যেকটা জেলা ক্রীড়া সংস্থার লিগগুলো যদি নিয়মিত হয়, সেকেন্ড ডিভিশন, ফার্স্ট ডিভিশন, কোয়ালিফাইং রাউন্ড করে যদি খেলার মধ্যে রাখা যায়, আর কোনো চিন্তা আসবে না। অটোমেটিক পাইপলাইনে প্লেয়ার চলে আসবে।’

স্পোর্টস ডেস্ক