সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ত্রিপুরার প্রথম শ্রেণীর সাবেক ক্রিকেটার ও রাজ্য অধিনায়ক রাজেশ বণিক। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার পশ্চিমাঞ্চলের আনন্দনগরে। গতকাল শনিবার (১ নভেম্বর) ৪০ বছর বয়সী সাবেক এই ভারতীয় ক্রিকেটারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (টিসিএ) এক কর্মকর্তা।

রাজেশের জন্ম ১৯৮৪ সালে। ত্রিপুরার হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে রাজেশের অভিষেক হয় ২০০১-০২ মৌসুমে। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

ডানহাতি ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি মাঝে মাঝে লেগস্পিন বোলিং করতেন রাজেশ। ৪২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ১৯.৩২ গড়ে ১৪৬৯ রান করেছেন তিনি। এছাড়া, ২৪টি লিস্ট-এ ম্যাচে ৩৭৮ রান এবং ১৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২০৩ রান করেছেন।

২০০০ সালে তিনি ভারতের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে খেলেছেন এবং একই বছর ইংল্যান্ড সফরেও ছিলেন তিনি। সে সময় তার সতীর্থ ছিলেন ভারতীয় দলের হয়ে খেলা ইরফান পাঠান ও আম্বাতি রাইডু।

এছাড়া ত্রিপুরার হয়ে বিভিন্ন যুব ও বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতায় খেলেছেন রাজেশ। যেমন, বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি, সি কে নায়ডু ট্রফি, এম এ চিদাম্বরম ট্রফি, বুচি বাবু ইনভিটেশনাল, অনূর্ধ্ব-১৯ কুচ বিহার ট্রফি এবং ন্যাশনাল অনূর্ধ্ব-২৫ টুর্নামেন্ট।

আগরতলায় বেঙ্গলের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে রাজেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ত্রিপুরার সিনিয়র দলের ক্রিকেটাররা হাতে কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছেন। ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও (টিসিএ) তাদের সদর দপ্তরে তাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুব্রত দে পিটিআইকে বলেন, ‘এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে আমরা একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার ও অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্বাচককে হারিয়েছি। আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। তার আত্মার শান্তি কামনা করি।’

ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্টস ক্লাবের সম্পাদক অনির্বাণ দেব বলেন, ‘বণিকের অবদান শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই সীমাবদ্ধ ছিল না। খুব কম মানুষই জানেন, তরুণ প্রতিভা চেনার দারুণ ক্ষমতা ছিল তার। সেই কারণেই তাকে অনূর্ধ্ব-১৬ রাজ্য দলের নির্বাচক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল।’