সেঞ্চুরিতে নির্বাচকদের বার্তা দিলেন মাহিদুল, মজিদের প্রথম ম্যাজিক
সামনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেই সিরিজের প্রস্তুতি নিতেই ৪ দিনের এনসিএলের প্রথম দুই রাউন্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে কোকাবুরা বল। সেই বলেই ব্যাটহাতে নজর কেড়ে নিজের নামটা জানান দিয়ে রাখলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। লড়াকু সেঞ্চুরি উপহার দিলেন তিনি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) এনসিএলের দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের পরিচিত নাম আব্দুল মজিদ। বেশ কয়েকটি দলের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। কিন্তু প্রথমবার নিজ বিভাগ ময়মনসিংহের হয়ে মাঠে নেমেছেন এবারের এনসিএলে। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথমবার পেলেন এনিসএলের সেঞ্চুরি।
ঢাকা-সিলেট বিভাগ
আগের দিনই ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল ঢাকা বিভাগ। এরপর ব্যাটহাতে নেমে দলের হাল ধরেন মাহিদুল। প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগেই আরও এক উইকেট হারায় ঢাকা।
৫ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ঢাকা। এদিনও দ্রুতই দুই উইকেট হারায় ঢাকা। অভিজ্ঞ তাইবুর রহমানের (২৫) পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রিপন মন্ডলও।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে এরপর মাহিদুল ও সুমন খান এগিয়ে নেন দলকে। অষ্টম উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করে শতরানে পা রাখেন মাহিদুল। ২২১ বলে তুলে নেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
তাকে সঙ্গ দেওয়া পেসার সুমন খান থামেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ ফিফটি তুলে নিয়ে ৭৪ রানে। ঢাকা বিভাগ থামে ৩১০ রানে। দিনের বাকি সময়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৩ রান করেছে সিলেট।
রংপুর-ময়মনসিংহ বিভাগ
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথমবার অভিষেক হলো ময়মনসিংহের। প্রথম আসরেই দাপুটে পাফরম্যান্স করছে দলটি। দ্বিতীয় তিন সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়েছে ময়মনসিংহ।
আগের দিন সেঞ্চুরি করেছিলেন মোহাম্মাদ নাঈম শেখ ও মাহফিজুল ইসলাম রবিন। পরদিন তাদেরকে অনুসরণ করলেন আব্দুল মজিদ। প্রথমবার নিজ বিভাগের হয় খেলতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনিও। এটি অবশ্য আব্দুল মজিদের প্রথম শ্রেণীর ক্যারিয়ারেরই প্রথম সেঞ্চুরি।
শেষদিকে ব্যাটহাতে ঝড় তোলেন আবু হায়দায় রনি। ৫ ছক্কায় ৩৪ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১০ বোলার ব্যবহার করেন রংপুর অধিনায়ক আকবর আলি। কিপিং গ্লাভস খুলে আগের দিন হাত ঘোরান তিনি নিজেও।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ময়মনসিংহ বিভাগ। শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে নেমেই ২ উইকেট হারিয়েছে রংপুর।
রাজশাহী-খুলনা বিভাগ
মিরপুর শেরে-বাংলার চিরায়ত রূপ আরও একবার প্রকাশ পেলো রাজশাহী বিভাগ আর খুলনা বিভাগের ম্যাচে। মিরপুরের স্বর্গে স্পিন ঘূর্ণি দিয়ে রাজশাহীকে কাবু করেছেন খুলনার দুই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ আর নাহিদুল ইসলাম। দুজনে ভাগ করে নিয়েছেন চারটি করে উইকেট।
তাদের স্পিনঘূর্ণিতে রাজশাহী বিভাগের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৬৮ রানে। এতেই অবশ্য তারা লিড পেয়ে যায় ১৪৭ রানের। কারণ প্রথম ইনিংসে খুলনা গুটিয়ে যায় ১২১ রানের গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ৬৮ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে খুলনা।
রাজশাহীর আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজির নায়ক শাকির হোসেন। ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৯ রান করে শাকির আউট হন ক্যারিয়ার সেরা ৮৯ রান করে।
বরিশাল-চট্টগ্রাম বিভাগ
প্রথম ম্যাচে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ মুমিনুল হক আশা জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির। তবে সেটিকে পূর্ণতায় রূপ দিতে পারলেন না তিনি। নার্ভাস নাইন্টিতে ৯২ রানে ফেরেন তিনি। তার বিদায়ের পরে সেভাবে আর কেউ চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিতে পারেনি। শেষ দিকে ৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় তারা। গুটিয়ে যায় ৩৫৮ রানে।
রান তাড়ায় নেমে অবশ্য ভালো করতে পারেনি বরিশালও। দুই উইকেট হারিয় ১১৫ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা। বরিশালের ওপেনার ইফতেখার হোসেন ইফতি (৫) ফেরেন দ্রুতই। এরপর চোট নিয়ে মাঠের বাইরে যান আরেক ওপেনার জাহিদউজ্জামান।
তিন নম্বরে নামা আদিল বিন সিদ্দিক ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ৯২ বলে ৪৩ ফেরেন। এরপর আবার ব্যাটিংয়ে নেমে দিন পার করে দন জাহিদ। সালমান অপরাজিত থাকেন ৯৫ বলে ৪৭ রান করে।

স্পোর্টস ডেস্ক