সেঞ্চুরির অপেক্ষায় মুশফিক, তিন দিনেই জয় রাজশাহীর
মুশফিকুর রহিম ব্যাটহাতে ছুটে চলছিলেন দুর্দান্ত গতিতে। বিপরীতে নিভে আসছিল দিনের আলো। শেষ পর্যন্ত সেই আলো নিভেই গেলো দিনের গেলো। থামতে হলো মুশফিককেও। তবে সেটি স্রেফ আজকের জন্যই। কারণ অপরাজিত মুশফিকের শতকের আশা এখনো জ্বলজ্বল করে জলছে।
মিরপুরের বোলিং স্বর্গে মেহেদী হাসান মিরাজ-সৌম্য সরকারদের হারিয়ে তিনদিনেই জয় তুলে নিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তদের রাজশাহী। ঘরের মাঠে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয় পেল শান্তরা। অন্যদিকে, বিপরীতে কক্সবাজারে বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তৃতীয় দিন।
ঢাকা-সিলেট বিভাগ
নিজ বিভাগ রাজশাহী ছেড়ে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছেন মুশফিকুর রহিম। দলটির প্রত্যাশাও পূরণ করছেন ব্যাটহাতে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়ামে আলোকস্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৯৭ রানে অপরাজিত থেকে দিনশেষ করেন তিনি।
মুশফিক দলের হাল ধরেছিলেন কঠিন সময়ে। বিনা উইকেটে ৩৩ রান দিয়ে দিনের খেলা শুরু করে সিলেট। বিনা উইকেটে ৭১ রান তুলে ফেলা সিলেট পরবর্তী ৪৭ রানের মধ্যে হারায় ৫ উইকেট। ফেরেন জাকির হাসান (৪৩) ও সৈকত আলিরা (২৭)।
এমন কঠিন সময়ে দলকে উদ্ধারের দায়িত্ব কাধে তুলে নেন মুশফিক। শাহানুর রহমানের সঙ্গে ৯৪ রানের পর ছোট একটি জুটি গড়েন তোয়ায়েল আহমেদের সঙ্গে। প্রথম ইনিংসে ৩১০ রান করা ঢাকাকে জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছে সিলেট।
রাজশাহী-খুলনা বিভাগ
আগের দিন বিকেলে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল খুলনা বিভাগ। তবে এদিন মিরপুরে সেই আভাস মুখ থুবরে পড়ল। দায়িত্ব নিতে পারলেন না কোনো ব্যাটারই। মেহেদী হাসান মিরাজ আর জিয়াউর রহমান কিছুট চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেটি যথেস্ট হয়নি।
শেষ পর্যন্ত খুলনার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৫৫ রানে। এর আগে প্রথম ইনিংসেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিল খুলনা। থেমেছিল ১২১ রানে। অন্যদিকে, নিজেদের প্রথম ইনিংসেই রাজশাহী করেছিল ২৬৮ রান। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর লক্ষ্য দাঁড়ায় মোটে ১০৯ রান।
দুই ওপেনার হাবিবুর রহমান আর সাব্বির হোসেনের উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৩ রান তুলে ফেলেন। এরপর ৪টি চার ও ৩ ছক্কায় ৬২ রানে আউট হন সোহান, ২৫ রানে ফেরেন সাব্বির হোসেনও। তবে কেনো অঘটন নয়। চার ও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করে দেন সাব্বির রহমান। ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
বরিশাল-চট্টগ্রাম বিভাগ
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাঁধ সাধলো বেরসিক বৃষ্টি। তৃতীয় দিনের বেশিরভাগ সময়ই পণ্ড হলো বৃষ্টির বাধায়। ফলে সারাদিনে খেলা হয়েছে স্রেফ ১১ ওভার। ২ উইকেটে ১১৫ রান নিয়ে দিন শুরু করে বরিশাল বিভাগ আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৬৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করেছে তারা। ৩২ রানে জাহিদউজ্জামান আর ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান হোসেন।
তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলেছে বরিশাল। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৫৮ রানে থামে চট্টগ্রাম বিভাগ।
ময়মনসিংহ-রংপুর বিভাগ
কক্সবাজারের এক মাঠে তবুও কিছুটা খেলা হয়েছে। কিন্তু আরেক মাঠে বৃষ্টির বাধায় একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। রংপুর বিভাগের বিপক্ষে দারুণ অবস্থানে থাকা ময়মনসিংহ বিভাগের দিনটি কেটেছে তাই হতাশায়।

                  
                                                  স্পোর্টস ডেস্ক