ঘরের মাঠে লেভারকুসেনের বিপক্ষে হারল সিটি
গোলের জন্য আক্রমণ কিংবা বল দখলের লড়াই—সব জায়গায়ই এগিয়ে থাকল ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু কাজের কাজটাই যে করতে পারলেন না তারা। সোনার হরিণ গোলের খোঁজে একরাশ হতাশা উপহার দিলেন পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। তবে ভুল করেনি বায়ার লেভারকুসেন। দুই অর্ধে দুই গোল করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লেন লেভারকুসেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিনগত রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে লেভারকুসেন। প্রথমার্ধে আলেহান্দ্রো গ্রিমালদো সফরকারীদের এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুন করেন পাত্রিক শিক।
অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুমে এটি প্রথম হার সিটির। ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে টেবিলের ৬ নম্বরে আছে সিটিজেনরা। অন্যদিকে, ৮ পয়েন্ট নিয়ে ১৩ নম্বরে উঠে এলো লেভারকুসেন।
এ ম্যাচে মূল একাদশের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে ছাড়াই শুরুর একাদশ সাজান গার্দিওয়ালা। ব্যস্ত সূচির কথা মাথায় রেখে বিশ্রাম দিতে বেঞ্চে রাখেন জানলুইজি দোন্নারুম্মা, আর্লিং হলান্ড, ফিল ফোডেন, জেমেরি ডোকুদের।
তাদের ছাড়া প্রথমার্ধে মাঠের খেলাতেও আলো ছড়াতে পারেনি সিটি। আক্রমণে ছিল না তেমন ধার। তবে পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। কর্নারের বিনিময়ে সেটি রুখে দিয়ে সফরকারীদের ম্যাচে রাখেন লেভারকুসেন গোলরক্ষক।
বিপরীতে ২৩ মিনিটে নিজেদের প্রথম সুযোগেই গোল আদায় করে নেয় লেভারকুসেন। প্রতি আক্রমণে ওঠে ডি বক্সে ক্রস করেন মালিক টিলমান। এরপর ক্রিস্টিয়ান কোফানের ফ্লিক ক্লিয়ার করতে পারেননি সিটির কেউ। বক্সে বল পেয়ে গতির ঝলক দেখিয়ে গ্রিমালদো বাঁ পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন।
প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল সিটি। কিন্তু সেই সুযোগ হাতছাড়া করে স্বাগতিক গ্যালারিকে হতাশ করেন টিজানি রেইন্ডার্স। খুব কাছ থেকে অনেকটা গোলরক্ষক বরাবর শট নেন নেন সিটির এই ডাচ মিডফিল্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তিনটি পরিবর্তন আনেন গার্দিওয়ালা। সেটাতে অবশ্য কোনো কাজে দেয়নি। বরং শুরুর দিকেই আরও এক গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় লেভারকুসেন।
ম্যাচের ৫৪তম মিনিটে সফরকারীদের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাত্রিক শিক। ইব্রাহিম মাজার দারুণ ক্রসে সিটির ডিফেন্ডার আঁকের বাধা এড়িয়ে দুর্দান্ত হেডে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।
৬৫তম মিনিটে হায়ান শের্কি ও হলান্ডকে বদলি নামান সিটি কোচ। এরপর বাড়ে স্বাগতিকদের আক্রমণ। সুযোগও আসে বেশ কিছু কিন্তু লেভারকুসেনের রক্ষণের প্রতিরোধ ভাঙতে পারেনি সিটি।

স্পোর্টস ডেস্ক