টিকটকের ডিজিটাল সেফটি ইভেন্ট প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে
বৈশ্বিক বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টিকটক প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সেফটি ইভেন্টের আয়োজন করে। গতকাল বুধবার (২৫ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকায় এই ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। দেশের টিকটক ব্যবহারকারীদের জন্য ডিজিটাল সেফটি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ছিল ইভেন্টের লক্ষ্য।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টিকটক প্ল্যাটফর্মটি এরইমধ্যে উদ্ভাবনী ও বৈচিত্র্যময় কমিউনিটির জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সেজন্য দিনদিন ব্যবহারকারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টিতে জোর দিতে সেফারটুগেদার ক্যাম্পেইন চালু করেছে তারা।
টিকটকে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের নিয়ে গতকালের আয়োজনে ছিল অনলাইন সেফটি বিষয়ে একটি প্যানেল আলোচনা। প্যানেল আলোচনায় দেশের জনপ্রিয় তারকা ও কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অংশ নেন।
ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন এডুকেটর আয়মান সাদিক, জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া, জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইফতেখার রাফসান, সাবেক মিস বাংলাদেশ পিয়া জান্নাতুল, লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার ফাইজা এবং অভিনেত্রী নীল হুরেরজাহান বীথি।
প্যানেল আলোচনায় ডিজিটাল সেফটির বিভিন্ন দিক, যেমন—ভুল তথ্য, হয়রানি এবং সাইবার বুলিং, ইন্টারনেটের দায়িত্বশীল ও নিরাপদ ব্যবহার, নিরাপদ কনটেন্ট তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় টিকটকে নীতিমালা মেনে সুন্দর সব কনটেন্ট তৈরির মাধ্যমে একজন নিরাপদ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হওয়ার দিক তুলে ধরা হয়।
আয়োজন নিয়ে একটি বিশেষ ভিডিও বার্তা দেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
নাসিম পারভেজ বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আজকের বিশ্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং আমি এই সময়োপযোগী প্রচারণার ব্যবস্থা করার জন্য টিকটককে ধন্যবাদ জানাই। বিষয়বস্তু নির্মাতাদের অবশ্যই দায়িত্বশীলভাবে কাজ করতে হবে এবং অন্যদের অনুপ্রাণিত করে এমন ভাল বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে। আমাদের অবশ্যই ভাইরাল হওয়ার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং দেশের প্রতিভার প্রতিনিধিত্ব করে, এমন বিষয়বস্তু তৈরিতে কাজ করতে হবে।’
আয়মান সাদিক বলেন, ‘আমার প্যানেলিস্ট হিসেবে বিশিষ্ট বিষয়বস্তু নির্মাতাদের সঙ্গে এই প্যানেল আলোচনার অধিবেশনটি পরিচালনা করার একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
পিয়া জান্নাতুল বলেন, ‘এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার জন্য প্যানেলিস্ট দলের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত। একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে আমি মনে করি, ডিজিটাল মিডিয়াতে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের সময় দায়িত্বশীল হওয়া এবং সতর্কতা অবলম্বন করা আমাদের ওপর নির্ভর করে।’
জামাল ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা প্রায়শই দেখতে পাই যে, শুধু কনটেন্ট ক্রিয়েটরই নয়, অন্যদের দিকেও মানুষ এমন অনেক মন্তব্য ছুড়ে দেয়, যা আমাদের নিরাশ করে বা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। আমি আশা করি, এই প্যানেল আলোচনা সেশনের মাধ্যমে, আমরা সাইবার বুলিং এর প্রভাব সম্পর্কে আরও জানতে পেরেছি এবং আশা করি, আমরা এই ধরনের আচরণগুলি চিনতে এবং তাদের সংশোধন করতে সক্ষম হব।’