শতভাগ মানুষ ইন্টারনেট পাবে ২০২৫ সালে
২০২৫ সাল নাগাদ শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশের প্রতিটি গ্রামকে ফাইবার অপটিকে সংযুক্ত করে বিদ্যুতের মতো ঘরে ঘরে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠন আইএসপিএবির নবনির্বাচিত কমিটির চারটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তের কথাও অবহিত করেছেন প্রতিমন্ত্রী।
আজ সোমবার সকালে আইএসপিএবির নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বক্তব্যে ইন্টারনেট সহজ, সুলভ করার পাশাপাশি এর সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপও করে ইন্টারনেট সেবাকে পঞ্চম মৌলিক সেবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আইসিটি পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
গ্রামকে শহরে পরিণত করতে ‘ডিজিটাল ইকোনিমির লাইফ লাইন ইন্টারনেট’ উল্লেখ করে পলক বলেন, বিদ্যুৎ যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, সেভাবে প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চাই। এই লাস্টলাইন সল্যুশনটি আইএসপিএবির সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে আজ আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মকছুদ জাহেদীকে প্রধান করে একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন আইএসপিএবি সভাপতি।
জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, সবার কাছে সুলভে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাই উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক পরিবার হয়ে কাজ করব। অল্প দিনের মধ্যেই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের অধীনে ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রামে গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দিতে আইএসপিএবির সদস্যদের মাধ্যমে এক লাখ নয় হাজার কানেক্টিভিটি স্থাপনে চেষ্টা করব।
আইএসপিএবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে পলক আরও বলেন, স্বল্পমূল্যে একই দরে ইন্টারনেট সেবা বাস্তবায়ন করতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য রাউটার, সুইচ আমদানি কর শূন্য করা এবং তাদের সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভুক্ত করতে আমরা রাজস্ববোর্ডকে চিঠি দেব। এ ছাড়া ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে এবং ইন্টারনেট কনটেন্টে শৃঙ্খলা রাখতে আইএসপিএবির মাধ্যমে একটি ‘ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ল্যাব’ স্থাপনে আইসিটি বিভাগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরের পূর্ণতা দেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। ২৬০০ ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত আন্ডারগ্রাউন্ড ইন্টারনেট সংযোগ ওই এলাকাগুলোকে ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে আইএসপি সদস্য প্রতিষ্ঠান কাজ করবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটা বাস্তবায়ন করা হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ঘরে ঘরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পেতে স্মার্ট কানেক্টিভিটি গড়ে তোলার জন্য আজকের বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী মহোদয় বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের পথ দিয়ে দিয়েছেন। আমরা তা বাস্তবায়ন করবেন।
আইএসপিএবি পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইএসপিএবির মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক,সহ সভাপতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাইয়্যুম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক সাকিফ আহমেদ প্রমুখ।