ব্যয় বহুল চারটি ড্রোন
ড্রোন হচ্ছে ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিক্যাল) অর্থাৎ মনুষ্যবিহীন বিমান। বিশ্বে ড্রোনের প্রথম ব্যবহার শুরু হয় সামরিক খাতে। এখন সামরিক খাত ছাড়াও মানব কল্যাণে ড্রোনের ব্যবহারকে জনপ্রিয় করার উদ্দেশে বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিরলস গবেষণা করছে।
এ জন্য ইকমার্স সাইট অ্যামাজান তাদের পণ্য পরিবহন এবং বিপণনের জন্য সিভিল ড্রোন তৈরি করেছে। অনেক উন্নত দেশে এখন উচ্চ প্রযুক্তির সিভিল ড্রোন বিক্রি হচ্ছে। এ রকমই কয়েকটি সিভিল ড্রোনের কথা জানিয়েছে এলিট ডেইলি ডটকম।
১. গেটউইং এক্স১০০ ইউএভি ড্রোন (Gatewing x100 UAV Drone)
বাজারের ব্যয়বহুল ড্রোনের মধ্যে গেটউইং এক্স১০০ অন্যতম। এই ড্রোনটি শুধু পেশাদার ড্রোন-চালকদের জন্য বানানো হয়েছে। এই ড্রোন নির্মাণে উচ্চ প্রযুক্তির অনেক টেকসই মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে ড্রোনটি যেকোনো রুক্ষ আবহাওয়ায় উড়তে সক্ষম। এই ড্রোনটি সর্বোচ্চ ৬০০ থেকে ৭৫০ ফুট উপরে টানা ৪৫ মিনিট উড়তে পারবে। এই ড্রোনটিকে উড়ানোর আগে যথেষ্ট পরিমাণ চার্জ দিতে হবে।এই ড্রোনের দাম শুরু হয়েছে ৪০ হাজার ডলার থেকে।
২. ড্রয়েডওর্ক্স স্কাইজিব এয়ারফ্রেম (Droidworx Skyjib Airframe)
এই সময়ের অন্য সব ড্রোনের তুলনায় এই ড্রোন অনেকটা বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন।পাশ্চাত্যের অনেক ছবির শুটিংয়ে এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে, তাই সবাই এই ড্রোনকে চিত্তবিনোদনের ড্রোনও বলে থাকে। রেড ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলার জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে। এর দাম শুরু হয় চার হাজার ডলার দিয়ে।
৩. অ্যায়বোটিক্স অ্যায়বোট এক্স ৬ ইউএভি ড্রোন (Aibotix Aibot X6 UAV Drone)
জার্মানিতে তৈরি করা হয়েছে এই ড্রোন। শুধু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য এই ড্রোনকে তৈরি করা হয়েছে। শুটিংয়ের সময় ছোট ছোট যন্ত্রপাতি যেমন : ছোট ক্যামেরা বা মাইক্রোফোন উপরে উঠানোর জন্য এই ড্রোন ব্যবহার করা হয়। ড্রোনটির উড্ডয়ন এবং অবতরণ পদ্ধতি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। এর দাম শুরু হয় ৩০ হাজার ডলার থেকে।
৪. পেঙ্গুইন বি ইউএভি ড্রোন (Penguin B UAV Drone)
সিভিল ড্রোন ইন্ডাস্ট্রিতে পেঙ্গুইন বি ড্রোনটি সর্বজন স্বীকৃত। এই ড্রোনকে যেমন একজন সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারবে তেমনি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও এটি ব্যবহার করে থাকে। সবচেয়ে দামি ড্রোন বলা হয় এটিকে। এর দাম শুরু হয় ৫০ হাজার ডলার থেকে।