অন্ধের যষ্টি স্মার্টফোন ট্যাব
অন্ধ ব্যক্তির স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড ও চলাফেরায় সহায়ক যন্ত্র হবে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট কম্পিউটার। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সহায়ক যন্ত্র নিয়ে কাজ করছেন এমন গবেষকরা এই দাবি করেছেন।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লিংকনের একদল গবেষক (কম্পিউটার ও যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষাবিষয়ক) অন্ধদের জন্য স্মার্টফোন-ভিত্তিক দৃষ্টিসহায়ক যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছেন। আর এতে অর্থায়ন করছে সার্চ ইঞ্জিন গুগল।
গবেষকরা জানিয়েছেন, একটি স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মধ্যে এমন কোনো যন্ত্র তাঁরা যুক্ত করবেন, যা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীকে অপরিচিত পরিবেশে চলাফেরা ও কাজে সহায়তা করবে।
ইউনিভার্সিটি অব লিংকনের সেন্টার ফর অটোনমাস সিস্টেমসের গবেষকরা বলেন, তাঁরা রং ও গভীরতা বুঝতে পারে এমন শনাক্তকরণ যন্ত্র স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটে যুক্ত করবেন। এর ফলে ওই স্মার্টফোন বা ট্যাব কোনো স্থানের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবে যেখানে সব বস্তুর অব্স্থানও বোঝা যাবে। আর যন্ত্রটি কম্পন, শব্দ বা কথার নির্দেশের মাধ্যমে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে।
লিংকন স্কুল অব কম্পিউটার সায়েন্সের মানুষকেন্দ্রিক রোবটবিদ্যার শিক্ষক নিকোলা বেলোটো বলেন, অন্ধদের কাজ ও চলাফেরায় সহায়তার জন্য বর্তমানে বাজারে ক্যামেরাভিত্তিক যন্ত্রসহ পরিধানযোগ্য অনেক যন্ত্রপাতি আছে। তবে এসব যন্ত্র ব্যবহারে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। নিত্যব্যবহার্য কোনো যন্ত্রের মধ্যেই যদি দৃষ্টি সহায়তার যন্ত্র যুক্ত করে দেওয়া যায়, তবে আলাদাভাবে কোনো কিছু ব্যবহার করতে হয় না। আর বর্তমানে স্মার্টফোনে বস্তুকে শনাক্ত, কোনো লেখা পড়ে দেওয়াসহ অনেক সুবিধা পাওয়া যায়, যা দৃষ্টিসহায়ক যন্ত্রকে দিতে পারে অনন্য মাত্রা। তবে স্মার্টফোন বা ট্যাবের মধ্যে দৃষ্টিসহায়ক যন্ত্র জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারটি এখনো সাফল্যের মুখ দেখেনি বলে জানান গবেষকরা।
পরিকল্পিত যন্ত্রের বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পর্কে গবেষকরা বলেন, ব্যক্তি অনুযায়ী যন্ত্রের ব্যবহারে পরিবর্তন হবে। আর স্মার্টফোন বা ট্যাবভিত্তিক যন্ত্রটি ব্যবহার হতে হতে নতুন পরিস্থিতি ও অবস্থা সম্পর্কে শিখবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ হয়ে ব্যবহারকারীর পাশাপাশি দক্ষ হয়ে উঠবে যন্ত্র।