ফলে বিষ আছে কি না বলবে ছুরি
সব কিছুই ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে যন্ত্রের কব্জায়। যন্ত্রের যন্ত্রণা থাকলেও সুবিধাও কিন্তু অনেক। আর দিন দিন এমন সব যন্ত্র আবিষ্কৃত হচ্ছে মানুষের জীবনকে আরো সহজ করে দিচ্ছে। খাবারের ক্ষেত্রে এমন সব বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে যে আপনার খাদ্য গ্রহণের ধরনই পাল্টে যাবে পুরোপুরিভাবে। রিডার্স ডাইজেস্টের সৌজন্যে নতুন প্রযুক্তির কিছু নমুনা :
১. স্মার্ট ছুরি
সালাদ বানাতে গেলে ছুরি তো লাগবেই। কিন্তু স্মার্ট ছুরিটা আবার কী? এটা এমনই এক ছুরি যা শুধু ফল কাটবে না, ফলের ভেতর থাকা জীবাণুও ধ্বংস করে ফেলবে। ইলেক্ট্রোলাক্স ডিজাইন ল্যাব প্রতিবছর একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যেখানে সেরা প্রযুক্তি পণ্যের আইডিয়াদাতাকে পুরস্কৃত করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় উঠে আসে স্মার্ট ছুরির আইডিয়া। এটি বাস্তবে এখনো কাজ শুরু না করলেও কিভাবে কাজ করবে তার একটি নমুনার কথা বলা হয়েছে। খাবারে কী পরিমাণ জীবাণু আছে তার একটা পরিমাপ ছুরির শরীরে থাকা ডিসপ্লেতে দেখা যাবে। কোনো ক্ষতিকারক সার ব্যবহার করা হয়েছে কি না সেটাও সতর্ক করে দেবে এই ছুরি। সেই সাথে যে ফলটি কাটা হচ্ছে তাতে কী পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে এবং তা কতটা সতেজ সেটারও আনুমানিক একটা হিসাব দেবে এই ছুরি।
২. খাদ্যের উৎপত্তিস্থল
খাবার কেনার আগে আমরা সব সময়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগি, কোথায় উৎপাদন করা হয়েছে এটি। চালটা বরিশালের তো? আমটা ঠিক রাজশাহীর বাগান থেকেই আনা তো? বিক্রেতা তো নির্বিঘ্নে আপনাকে গছিয়ে দেবেন। কিন্তু আপনার মনে তো সন্দেহ থেকেই যাবে। আপনার সেই সন্দেহ একেবারে দূর করে দেবে একটি অ্যাপ্লিকেশন। দোকান থেকে কেনার আগে প্যাকেটে দেখবেন একটি কিউআর কোড দেওয়া আছে। এই কিউআর মানে ‘কুইক রেসপন্স’। সেই কোডটা স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশনে সাবমিট করলে পেয়ে যাবেন সেই পণ্যের সব তথ্য। কোথায়, কার বাগান থেকে সেটা তোলা হয়েছে এই তথ্য পর্যন্ত পেয়ে যাবেন।
৩. টেবিলে ট্যাবলেট
এত দিন তো মেন্যুকার্ড নিয়ে খেতে বসতেন। এবার বসবেন ট্যাব নিয়ে। জাপানের রাজধানী টোকিওতে লগবার রেস্টুরেন্টে রয়েছে ই-মেন্যু। সেখানে আপনি আপনার পছন্দমতো খাবার বানিয়ে নিতে পারবেন। ককটেল ড্রিংকসে কী কী থাকবে সেটা ঠিক করে দিন, আপনার নতুন রেসিপি যোগ হয়ে যাবে ই-মেন্যুতে। এরপর কেউ যদি আপনার তৈরি খাবারটা অর্ডার করেন তাহলে রেস্টুরেন্টের তরফ থেকে আপনি পেয়ে যাবেন ৫০ ইয়েন কমিশন!
৪. জ্যান্ত রান্নাঘর
ইলেক্ট্রোলাক্স ডিজাইন ল্যাবের প্রতিযোগিতা থেকে উঠে আসা আরেকটি আইডিয়া হলো রান্নাঘরকে জীবন্ত করে তোলা। রান্নাঘরের দেয়ালে থাকবে একটি প্রজেক্টর। ধরুন বাড়ির সদস্যরা আজকে মাছ খেতে চাইলেন। সেই প্রজেক্টরে ভেসে উঠবে একটি সবুজ জঙ্গলের ছবি। সেখানে রয়েছে এক নদী। যেখানে আপনি ছিপ ফেলে মাছ ধরতে পারবেন। সবাই মিলে মাছ ধরতে ধরতে দেখবেন বাড়ির দরজায় মাছ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বাজারের দোকানি। কারণ আপনি যখন মাছ ধরার অপশনটি ক্লিক করেছেন তখনই মাছ বিক্রেতার ডাটাবেজে আপনার অর্ডার তৈরি হয়ে গেছে। ফরমায়েশ অনুযায়ী সে আপনার ঘরে মাছ পৌঁছে দেবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে শিশুদের দেখে শেখার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ শিশুরা অনেকেই ভাবে যে মাছ বাজারেই পাওয়া যায় কিন্তু বাজারে মাছ কোত্থেকে আসে সেই অভিজ্ঞতা দিতেই এই অ্যাপ।