পাবলিক টয়লেটের সন্ধান দেবে ‘যাব কোথায়?’
রাজধানীতে পাবলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্যে ‘যাব কোথায়?’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
আজ বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শ্যামলী পার্কের মাঠে বিশ্ব টয়লেট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অ্যাপটির উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এই অ্যাপের উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকার পাবলিক স্যানিটেশন ব্যবস্থা এক নতুন যুগে প্রবেশ করল। এ ধরনের সামাজিক দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে না এলে একা সরকারের পক্ষে সব কাজ করা কঠিন। দুই সিটি করপোরেশনের সম্মিলিত লক্ষ্য হলো নগরের প্রায় ৬৫০টি স্থানে আধুনিক টয়লেট নির্মাণ করা।’
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, ‘আমরা বাড়িতে যেভাবে শৃঙ্খলা মেনে টয়লেট ব্যবহার করি, বাইরে গিয়েও সেই শিষ্টাচার বজায় রাখলে এই টয়লেটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ আরও সহজ হবে।’
নগরবাসীর টয়লেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা উন্নত করতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের সহযোগিতায় ‘ভূমিজ’ চালু করেছে জনবান্ধব মোবাইল অ্যাপ ‘যাব কোথায়?’।
গুগল প্লে স্টোরে থাকা অ্যাপটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা নিকটবর্তী টয়লেট সহজেই খুঁজে পেতে পারবেন। টয়লেটের খোলার সময়সূচি, ছবি, সেবার বিবরণসহ ডিজিটাল পেমেন্ট সুবিধাও অ্যাপটিতে যুক্ত হয়েছে। রয়েছে কিউআর-কোড স্ক্যানের মাধ্যমে ক্যাশলেস প্রবেশ ও সেবার মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা।
সাম্প্রতিক সময়ে ওয়াটারএইড বাংলাদেশের ‘পথের দাবি’ কার্যক্রমের আওতায় চালু হওয়া ‘স্টার রেটিং সিস্টেম’ টয়লেটের পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, হাত ধোওয়ার সুবিধা এবং সামগ্রিক সেবার মান মূল্যায়নে সহায়তা করবে। এতে ব্যবহারকারীরা সহজে তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন এবং পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও উন্নত সেবা বজায় রাখতে উৎসাহিত হবে।
বিশ্ব টয়লেট দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ডিএনসিসিকে পাঁচটি মোবাইল টয়লেট হস্তান্তর করেছে। এগুলো রাজধানীর ব্যস্ত এলাকায় স্থাপন করা হবে, যাতে কর্মজীবী মানুষ, নিম্নআয়ের নাগরিক ও নারীরা নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য পাবলিক স্যানিটেশন সুবিধা পেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমিজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা রশিদ, দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

নিজস্ব প্রতিবেদক