আবাসিক স্কুলে আদিবাসী নিপীড়ন

অবশেষে ক্ষমা চাইল কানাডার ক্যাথলিক বিশপ পরিষদ

Looks like you've blocked notifications!
কানাডার উচ্চপদস্থ ক্যাথলিক বিশপরা দেশের কুখ্যাত আবাসিক স্কুল ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে। প্রতীকী ছবি

কানাডার উচ্চপদস্থ ক্যাথলিক বিশপরা প্রথমবারের মতো দেশের কুখ্যাত আবাসিক স্কুল ব্যবস্থায় তাদের ভূমিকার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়েছে। জনসাধারণের চাপ থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ক্যাথলিক বিশপ পরিষদ ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।

দ্য গার্ডিয়ান জানায়, গত শুক্রবার কানাডিয়ান কনফারেন্স অব ক্যাথলিক বিশপ প্রথমবারের মতো আঠার ও উনিশ শতকে দেশটির আবাসিক স্কুলে যে কুখ্যাত ব্যবস্থা কার্যকর ছিল, তার জন্য ক্ষমা চেয়েছে।

সে সময় আদিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে জোরপূর্বক আবাসিক স্কুলে নেওয়া হতো। তাদের ওপর চালানো হতো ভয়াবহ নিপীড়ন।

এ প্রসঙ্গে দেওয়া বিবৃতিতে বিশপদের পরিষদ নিপীড়নের ঘটনায় ‘গভীর অনুশোচনা’ প্রকাশ করার পাশাপাশি স্কুল পরিচালনায় সরাসরি জড়িত ছিল এমন সব ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ‘দ্ব্যর্থহীনভাবে ক্ষমা প্রার্থনা’ করেছে।

কানাডিয়ান কনফারেন্স অব ক্যাথলিক বিশপ হচ্ছে কানাডার বিশপদের জাতীয় পরিষদ। এটি ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা স্বীকৃত এবং ক্যাথলিক বিশপদের বৈশ্বিক পরিষদগুলোর নেটওয়ার্কের অংশ।

কানাডায় উনিশ ও বিশ শতকে আবাসিক স্কুলগুলোতে সরকারি অর্থায়নে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর পরিচালনায় আদিবাসী শিশুদের রাখা হতো।

১৮৩১ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯৬ সাল পর্যন্তও এ ব্যবস্থা চালু ছিল। এ ব্যবস্থায় আদিবাসী শিশুদের পরিবার থেকে জোরপূর্বক বিচ্ছিন্ন করে রাখা হতো।

এই শিশুদের প্রায়ই তাদের নিজেদের ভাষায় কথা বলতে ও তাদের সংস্কৃতি চর্চা করতে দেওয়া হতো না, তাদের অনেকের সঙ্গেই দুর্ব্যবহার ও গালাগাল করা হতো। শিক্ষার্থীরা অপুষ্টিতে ভুগতো, তারা শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হতো।

কানাডার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন ২০১৫ সালে এসব কর্মকাণ্ডকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ অ্যাখ্যা দেয়।