আন্তর্জাতিক বাজারে ফের কমল জ্বালানি তেলের দাম

Looks like you've blocked notifications!
ব্রিটিশ পেট্রোলিয়ামের একটি তেল উৎপাদন প্লাটফরম। ছবি : সংগৃহীত

২০২০ সালের পর গত মাসে অপরিশোধিত তেলের সর্বোচ্চ উৎপাদনের কারণে এবং ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়টি পুনরুজ্জীবিত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্য দিয়ে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে এসেছে। ইরান যদি আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে প্রবেশ করে এবং প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ লাখ ব্যারেল তেল যোগান দেয়, তবে আগামী বছরের মাঝামাঝি প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ৬৫ ডলারে নেমে আসবে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার বৃদ্ধি আর চীনে নতুন করে আরোপিত কোভিড বিধিনিষেধের ভেতর দিয়ে আজ সোমবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমে যায়। আজ শীর্ষ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি ব্রেন্ট প্রতি ব্যারেল ক্রুড অয়েল বিক্রি করেছে ৯১.৮৩ ডলারে যা ১.০১ ডলার নেমে এসেছে। অন্যদিকে আরেকটি শীর্ষ উৎপাদনকারী কোম্পানি টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের ক্রুড অয়েল ১.১৩ ডলার কমে ব্যারেল প্রতি ৮৫.৬৬ ডলারে পৌঁছেছে। খবর খালিজ টাইমসের।

লন্ডনের পেট্রোলিয়াম বাজার বিশ্লেষক টামাস ভার্গা এ বিষয়ে বলেন, যদি ইরান আন্তর্জাতিক বাজারে ফিরে আসে, সে ক্ষেত্রে ওপেকভুক্ত দেশগুলো প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে পারে। যদি ইরানের পারমাণবিক ইস্যুটির একটি সুরাহা হয় তবে প্রতিদিন ১ থেকে ২ মিলিয়ন অতিরিক্ত তেলের যোগান দিতে পারবে দেশটি। আগামী আট মাসের মধ্যে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে; যা বিশ্বকে একটি ভারসাম্যপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।

গত আগস্ট মাসে ওপেকভুক্ত ১৩টি দেশ বিশ্ব বাজারে প্রতিদিন ২৯.৫৬ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের যোগান দেয়, যা জুলাই মাসের চেয়ে প্রতিদিন ২ লাখ ৬০ হাজার ব্যারেল বেশি। এই হিসাব রাশিয়ার দৈনিক ৯.৭৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদনের বাইরে।

অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি তেল উৎপাদনকারী দেশ সৌদি আরবে আগস্ট মাসে দৈনিক উৎপাদন দেড় লাখ ব্যারেল বাড়িয়ে ১০.৯২ মিলিয়ন ব্যারেলে পৌঁছে। তবে দেশটি দাবি করে আসছে, তারা দৈনিক ১২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করতে পারবে।