আপিলেও হারলেন আইএস বধূ শামীমা

Looks like you've blocked notifications!
ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগমের ছবি হাতে রেখে দেখাচ্ছেন তার বোন রেনু বেগম। ছবি : রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার মামলায় হেরে গেছেন আইএস বধূ ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। আজ বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটেনের বিশেষ অভিবাসন আদালত শামীমার আপিল খারিজ করে দেয়। খবর বিবিসির।

জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি ইস্যুতে শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়। এ নিয়ে আপিল করেন সিরিয়ার শরণার্থী শিবিরে পাওয়া এই ব্রিটিশ নাগরিক। তবে, তার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এবারেও দেখানো হয়েছে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকি।

বিচারক জে বলেন, ‘তার আপিল সেমি-সিক্রেট কোর্ট থেকে খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এর মানে দাঁড়ায়, ২৩ বছর বয়সী শামীমা উত্তর সিরিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে যুক্তরাজ্যে ফিরতে পারবেন না।’

২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে দুই বান্ধবীসহ সিরিয়ায় পালিয়ে যায় শামীমা। তারা জঙ্গি সংগঠন আইএসে যোগ দিতে ব্রিটেন ছেড়ে সিরিয়া গিয়েছিলেন। সেখানে আইএসের এক সদস্যকে বিয়ে করেন শামীমা। এরপর তিনি তিন সন্তানের জন্ম দেন, তবে সবাই মারা গেছে।

২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আল-হওর শরণার্থী শিবিরে শামীমার দেখা পান এক ব্রিটিশ সাংবাদিক। সাক্ষাৎকারে শামীমা যুক্তরাজ্যে ফিরে আসার আকুতি জানান। শামীমা সে সময় ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলোর প্রধান শিরোনাম হন। 

শামীমা যুক্তরাজ্যে ফেরার ইচ্ছে পোষণ করেন। কিন্তু, তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। ফলে, যুক্তরাজ্যে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায় শামীমার। তারপর থেকেই ব্রিটিশ নাগরিকত্ব টিকিয়ে রাখতে আইনি লড়াই শুরু করেন শামীমা। তবে, একের পর এক মামলায় হেরে গিয়েছেন তিনি।