আফগানিস্তানের জন্য ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি
আফগানিস্তানের জন্য ১০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছে জাতিসংঘ। তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে জাতিসংঘের সতর্কবার্তার পর এই প্রতিশ্রুতি এলো। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের আহ্বানে গতকাল সোমবার আফগানিস্তানের জন্য সহযোগিতা কনফারেন্স হয়। সেখানে ৬০৬ মিলিয়ন ডলার চাওয়া হয়েছিল। সে আহ্বানের পর অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি ডলারের অঙ্কে এক হাজার মিলিয়ন অর্থাৎ এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। কনফারেন্সটিতে জাতিসংঘ ও রেড ক্রসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, দুই দশকের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান বর্তমানে নাজুক সময় পার করছে। দারিদ্র্যের হার বেড়েই যাচ্ছে, সরকারি সেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এই মাসের শেষে আফগানিস্তানের বহু মানুষ অনাহারী হয়ে পড়বে বলে জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
গত ১৫ আগস্ট তালেবানের আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল দখলের আগপর্যন্ত আফগানিস্তানের অর্ধেক জনগোষ্ঠী, অর্থাৎ এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ সহযোগিতার ওপর নির্ভরশীল ছিল। খরা, খাদ্য ও নগদ অর্থ সংকটে এবং রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতায় এই নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সাহায্য সংস্থাগুলো।
পশ্চিমা মদদপুষ্ট সরকারের পতনে এবং তালেবানের বিজয়ের ফলে আফগানিস্তানে শত শত কোটি ডলারের বিদেশি সাহায্য বন্ধ হয়ে গেছে। দেশটিতে জাতিসংঘের কার্যক্রম চালানো নিয়েও চাপ তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব গত শুক্রবার জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে জাতিসংঘ নিজের কর্মীদের বেতনই দিতে পারছে না।
আহ্বান করা ৬০৬ মিলিয়ন ডলারের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে খাদ্য সরবরাহে ব্যয় করার কথা হয়েছে।
আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ডব্লিউএফপি আফগানিস্তানে একটি জরিপ চালিয়ে জানায়, দেশটির ৯৩ শতাংশ মানুষ পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার পায় না।
এ ছাড়া জাতিসংঘের আরেকটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও (ডব্লিউএইচও) এই সাহায্যের অর্থ আফগানিস্তানে তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম পরিচলানায় ব্যয় করবে।