আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা অধিকারকর্মীকে আটক করেছে তালেবান

Looks like you've blocked notifications!
আফগানিস্তানের নারী শিক্ষা অধিকারকর্মী মতিউল্লাহ ওয়েসা। ছবি: মতিউল্লাহ ওয়েসার টুইটার পেজ থেকে

আফগানিস্তানে এক নারী শিক্ষা অধিকারকর্মীকে আটক করেছে তালেবান। সোমবার (২৭ মার্চ)  রাজধানী কাবুলে একটি মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় মতিউল্লাহ ওয়েসাকে আটক করে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। খবর বিবিসির।

মতিউল্লাহর পরিবারের এক ঘনিষ্ঠজন জানায় দু’টি গাড়িতে করে আসে তালেবানরা। এসময় তাকে হাতকড়া পরিয়ে গাড়িতে তোলা হয়।  আটকের আগে তার বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয় বলেও জানানো হয়। তবে কেন তাকে আটক করা হয়েছে এবং তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা জানায়নি কর্তৃপক্ষ।

সোমবার টুইটারে একটি পোস্ট করেন ওয়েসা। সেখানে পেনপথ এর এক নারী স্বেচ্ছাসেবীর ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, মেয়েদের নারী শিক্ষার ইসলামিক অধিকার রক্ষার দাবি জানাচ্ছে। এটাই ছিল ওয়েসার শেষ টুইট।  এর কয়েকঘন্টা পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

দেশটিতে নারী শিক্ষার অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের অন্যতম মতিউল্লাহ ওয়েসা। ওয়েসা আফগানিস্তানের দুর্গম প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে ঘুরে নারীদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সচেতন করতেন। ২০২১ সালে তালেবানরা পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকে  ওয়েসা তার স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ‘পেনপথ’ এর মাধ্যমে নারী শিক্ষা অধিকারের পক্ষে কাজ করে আসছিলেন। এসব করতে যেয়ে প্রায়ই নানা হুমকিও পেতেন তিনি।

এদিকে ওয়েসাকে  কোথায় রাখা হয়েছে এবং কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে তালেবান সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে আফগানিস্তানের জাতিসংঘ মিশন।

২০২১ সালের অগাস্টে পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর দেশটিতে নারী শিক্ষা  প্রায় বন্ধ করে দেয় তালেবান।  গত বছরের শেষ ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এর আগে মেয়েদের সব মাধ্যমিক বিদ্যলয়ও বন্ধ করে দেয় অতি রক্ষণশীল তালেবানরা।