আর্থিক অস্থিরতা বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধিকে বাধা দেবে : আইএমএফ

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের সদর দপ্তরের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি : রয়টার্স

বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুঃসংবাদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধি নিয়ে নিজেদের পূর্ভাবাস থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। এমনকি, সতর্কবার্তাও দিয়েছে তারা। সংস্থাটির মতে, উচ্চ সুদের হার বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থাকে মন্থর করে দিতে পারে। একইসঙ্গে অস্থিতিশীলতা আউটপুটকে মন্দার কাছাকাছি পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটপুট রিপোর্টে আইএমএফ বলছে, দুটি মার্কিন আঞ্চলিক ব্যাংকের ব্যর্থতা ও সুইস ব্যাংক ক্রেডিট সুইসের অস্থিরতা গোটা ব্যাংকিং সিস্টেমকে ঝুঁকিতে ফেলেছে। বর্তমানে এসব ঝুঁকি সব ব্যাংকেই বিরাজমান। এই অস্থিরতায় উচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। আর ইউক্রেন ও রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ অনিশ্চয়তার আরেকটি স্তর যুক্ত করেছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে সপ্তাহব্যাপী একটি বৈঠক চলছে। বৈঠকে আইএমএফ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে আগের তুলনায় আর্থিক ব্যবস্থায় অস্থিরতা বেড়েছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অন্ধকার ঘনীভূত হচ্ছে।

২০২৩ সালে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধি দুই দশমিক আট শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। আর পরের বছরে অর্থাৎ, ২০২৪ সালে এ প্রবৃদ্ধি হবে তিন শতাংশ। কিন্তু, এর আগে ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক চার শতাংশ হবে বলে জানিয়েছিল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলটি।

২০২৩ ও ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত জানুয়ারিতে আইএমএফ পূর্ভাবাস দিয়েছিল। তবে, ওই সময়ের ধারণা থেকে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশ পয়েন্ট কমতে পারে। এর মূলে রয়েছে, কিছু বৃহত্তর অর্থনীতির দেশের দুর্বল পারফরম্যান্স।

বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে দুঃসংবাদ দিলেও মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছে আইএমএফ। গত জানুয়ারিতে মার্কিন প্রবৃদ্ধি এক দশমিক চার শতাংশের কথা জানায় সংস্থাটি। তবে, বর্তমানে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশটির প্রবৃদ্ধি পূর্ভাবাস বাড়িয়ে এক দশমকি ছয় শতাংশ করেছে তারা।  তবে, ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানির প্রবৃদ্ধিতে শূন্য দশমিক এক শতাংশ কাটছাঁট করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল। একই অবস্থা জাপানের। দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ কমিয়ে এক দশমিক তিন শতাংশ করা হয়েছে।

২০২৩ সালের মূল্যস্ফীতি চার দশমিক পাঁচ শতাংশ থাকবে বলে গত জানুয়ারিতে পূর্ভাবাস দিয়েছিল আইএমএফ। তবে, এবার তা বাড়িয়ে পাঁচ দশমিক এক করেছে তারা। জ্বালানি ও খাদ্যের দাম কম থাকা সত্ত্বেও অনেক দেশে এখনও দাম শীর্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।

আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে-অলিভার গুরিনচাস বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুদ্রানীতির স্থিতিশীলতার ওপর দৃষ্টি রাখতে হবে।’