আর্মেনীয়দের ১০ দিন সময় দিল আজারবাইজান

Looks like you've blocked notifications!
নাগর্নো-কারাবাখের জাতিগত আর্মেনীয়রা নিজেদের বাড়ি পোড়াচ্ছে। ছবি : রয়টার্স

টানা ছয় সপ্তাহের চলা যুদ্ধের পর শান্তি চুক্তি অনুযায়ী বিরোধীয় নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল আজারবাইজানের হাতে তুলে দেওয়ার কথা আর্মেনীয়দের। সে অনুযায়ী আজ রোববার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে সময়সীমা শেষ হতে যাচ্ছে। তবে মানবিক দিক বিবেচনা করে আরো ১০ দিন সময় বাড়িয়েছে আজারবাইজান।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানায়, বিরোধীয় কালবাজার অঞ্চলের বাসিন্দারা চুক্তি অনুযায়ী তাদের বসতি রোববার ছেড়ে দেওয়ার কথা। ওই অঞ্চলটিতে কয়েক দশক ধরে জাতিগত আর্মেনীয়রা বসবাস করে আসছে। তবে রোববার আজারবাইজান ওই অঞ্চলটি সর্ম্পণ খালি করতে আরো ১০দিন সময় বাড়িয়েছে।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হিকমত হাজিয়েভ জানিয়েছেন, কালবাজারে আর্মেনীয় বাহিনী ও তাদের অবৈধ বাসিন্দাদের এলাকাটি ছাড়ার জন্য ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া হয়েছে। 

হিকমত হাজিয়েভ বলেন, বিরোধীয় অঞ্চলের মধ্যস্থতাকারী রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মাধ্যমে আর্মেনীয়া সময় বাড়ানোর অনুরোধ করেছে; মানবিক কারণে ইলহাম আলিয়েভ প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন।

এদিকে কিছু জাতিগত আর্মেনীয় তাদের নিজের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে দিচ্ছে যাতে আজারবাইজানের কেউ সেগুলো ব্যবহার করতে না পারে। ওই বিতর্কিত অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, তবে ১৯৯৪ সাল থেকে এটি জাতিগত আর্মেনিয়ানরা পরিচালনা করে আসছে।

দুই দেশের সংঘাতের মূলে ওই নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চল। এলাকাটি জাতিগত আর্মেনীয় অধ্যুষিত। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময় ভোটাভুটিতে অঞ্চলটি আর্মেনিয়ার সঙ্গে থাকার পক্ষে রায় দেয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বেধে যায়। ১৯৯০ সালের ওই যুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই যুদ্ধ থামে ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।

এরপর থেকে এলাকাটি আন্তর্জাতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে। তাদের সমর্থন করে আষছে আর্মেনিয়ার সরকার। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যস্থতায় দশকের পর দশক আলোচনা হলেও শান্তিচুক্তি অধরা থেকে গেছে।

সবশেষ গত মঙ্গলবার থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন হয়। এতে বিরোধীয় কারাবাখ অঞ্চলে রাশিয়ার শান্তিরক্ষীবাহিনী পর্যবেক্ষণ করার কথা রয়েছে। এদিকে বুধবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ঘোষণা দেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্বারকে স্বাক্ষর হয়েছে তুরস্কের। এতে মস্কোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে আঙ্কারার সেনাবাহিনী পর্যবেক্ষণ করবে।