ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন পুতিন
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সোমবার জানিয়েছেন ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেটি তিনি বিবেচনা করছেন।
সোমবার নিজের নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন পুতিন। লুহানস্ক ও ডোনেস্ক ইউক্রেন ও রাশিয়ার সীমানা ঘেষা দুটি অঞ্চল। ২০১৪ সাল থেকেই এ অঞ্চলের রুশপন্থি বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা চাইছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
লুহানস্করের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লিওনিদ পাসেচনিক ও ডোনেস্কের নেতা ডেনিস পুসহিলিন পুতিনের সঙ্গে এই জরুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আর এই বৈঠকেই লুহানস্ক ও ডোনেস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পুতিনের প্রতি আহ্বান জানান তারা।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত সংবাদে পুতিনকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের লক্ষ্য। আজকের বৈঠকের লক্ষ্য হলো আমাদের বন্ধুদের কথা শোনা ও এই অঞ্চল নিয়ে আমাদের পরবর্তী করণীয় ঠিক করা।’
এদিকে পুতিন যদি এই দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন তাহলে ইউক্রেনের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর অযুহাত দিয়ে তখন রাশিয়া প্রকাশ্যে সেখানে সৈন্য পাঠাতে পারবে।
রাশিয়ার নিম্ন কক্ষ গত সপ্তাহেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে আহ্বান জানান লুহানেস্ক ও ডোনেস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে। তখন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও পশ্চিমাদেশগুলো কঠিন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।
রাশিয়া যদি এ দুটি অঞ্চলকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে তা মিনস্ক চুক্তির পরিপন্থি হবে। তা ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোসহ অন্য দেশগুলো এ বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারে।