ইউক্রেনে গুতেরেস-এরদোয়ান, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার দাবি জেলেনস্কির

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের লাভিভে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান (বাঁয়ে), ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ছবি : রয়টার্স

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন ইউক্রেনের জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আহ্বান জানিয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিন তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন জাতিসংঘের মহাসচিব ও ইউক্রনের প্রেসিডেন্ট। এতে শস্য রপ্তানি, রাশিয়ার দখলে চলে যাওয়া ইউরোপের সবচেয়ে বড় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি যুদ্ধের কূটনৈতিক সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘চুক্তির আওতায় এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ২১টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। আর ১৫টি জাহাজ শস্য ও অন্যান্য খাদ্য নিতে ইউক্রেনের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। তবে, এটি আসলে শুরু মাত্র। আমি বলব, সব পক্ষ যেন সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখে।’

রাশিয়া ও ইউক্রেনকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘খাদ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে প্রথম দিন থেকেই (আন্তর্জাতিক) সব পক্ষ পেশাদারত্ব নিয়ে কাজ করেছে। সব বাধা কাটিয়ে উঠতে এবং চূড়ান্তভাবে সব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা দেখাতে হবে।’

জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান জাতিসংঘের মহাসচিব। বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এর আশপাশের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন বলেও জানান।

জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া কোনো ধরনের র‍্যাডিয়েশনজনিত ধ্বংসযজ্ঞ চালালে গোটা ইউরোপের জন্য তা হুমকি হবে বলে গতকাল জানায় ইউক্রেন। ইউক্রেন আগ্রাসনের দু সপ্তাহের মধ্যেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দখল নিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া সর্বশেষ আজ বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছে, তারা পারমানবিক যুদ্ধের পক্ষপাতী নয়।