ইউক্রেনে পরমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফের গোলাবর্ষণ, জাতিসংঘের উদ্বেগ

Looks like you've blocked notifications!
রাশিয়া গত মার্চে প্ল্যান্টটি দখলে নিয়েছিল। ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আরও গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া আবারও এমন হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করছে। এমন হামলার বিষয়ে উদ্‌বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।

রাশিয়া-ইউক্রেন দুপক্ষই জানিয়েছে—স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ইউরোপের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যালয় ও ফায়ার স্টেশনে ১০ বার হামলার ঘটনা ঘটেছে।

পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য ডাকা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সংস্থার পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসি সতর্কবার্তায় বলেছেন—বিষয়টি ‘গুরুতর’।

জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, হামলার ঘটনাটি ‘বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের জরুরিভাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পরিদর্শনের জন্য অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, অতীতে দেখা গেছে—এ ধরনের দাবিগুলো এখন পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি।

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চারপাশে একটি নিরস্ত্রীকরণ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানায়।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘কোনো পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় লড়াই করা বিপজ্জনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।’

অন্যদিকে, রাশিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি বলেছেন—নিরস্ত্রীকরণ কোনো বিকল্প নয়। এমনটি করা হলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সন্ত্রাসী হামলাসহ নানা ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মুখে পড়বে।

ইউক্রেনের মধ্য-পূর্বাঞ্চলে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিসহ এর আশপাশের এলাকায় গত সপ্তাহে গোলাবর্ষণ শুরু হয়। রাশিয়া ও ইউক্রেন এ হামলার জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে।

ইউক্রেন বলেছে—রাশিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিকে সামরিক ঘাঁটি বানিয়েছে। কারণ তারা জানে—এখান থেকে হামলা চালালে ইউক্রেনীয় বাহিনী পালটা জবাব দেওয়ার আগে ভাববে। তবে, মস্কো ইউক্রেনের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।