ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু, শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা : যুক্তরাজ্য
যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে। পুতিন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।
স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আপনি উপসংহার টেনে বলতে পারেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। রাশিয়ানরা, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং এর আঞ্চলিক অখন্ডতার ওপর আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছেন।’
‘আমরা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে দেখেছি। রাশিয়া সেখানে ট্যাংক, সেনা মোতায়েন করেছে তাও আমরা এখন বলতে পারি। এ থেকেই বলা যায় আগ্রাসন শুরু হয়ে গেছে,’ বলেন জাভিদ।
অন্যদিকে, পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চলে পুতিনের সেনা পাঠানোর জেরে যুক্তরাজ্য শিগগিরই রাশিয়ার ওপর ‘কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। খবর রয়টার্সের।
সাংবাদিকদের জনসন মঙ্গলবার বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা কেবল প্রথম ধাপ। কারণ, আমাদের ধারণা সামনে রাশিয়ার আরও অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড দেখতে পাওয়া যাবে।’
ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে ‘স্বাধীন’ রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন পুতিন।
পুতিন ডিক্রি জারির পরপরই সোমবার দোনেৎস্ক শহরের ভেতর দিয়ে রাশিয়ার ট্যাংক এবং সামরিক বহর যেতে দেখা গেছে। ক্রেমলিনের ভাষায় এই সৈন্যবাহিনী সেখানে ‘শান্তিরক্ষায়’ দায়িত্ব পালন করবে। ক্রেমলিনের এই যুক্তিকে ফালতু কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, তিনি ১২৩০ জিএমটি’র দিকে পার্লামেন্টে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ঘোষণা করবেন। ব্যাপক পরিসরে রাশিয়ার অথনৈতিক স্বার্থকে যতটা সম্ভব কঠোরভাবে নিষেধাজ্ঞার নিশানা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনসন।