ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বিশ্ব বিবেকের প্রতি অপমান: গুতেরেস

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের খেরসন শহর। ছবি : রয়টার্স

সাধারণ পরিষদের বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনকে বিশ্বের বিবেকের প্রতি অপমান বলে নিন্দা জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, সাধারণ পরিষদে ইউক্রেন এবং তার মিত্রদের সমর্থনে রাশিয়াকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তভাবে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক হচ্ছিল।

৬০টি দেশ এই প্রস্তাবকে সমর্থনে করেছে, যাতে জাতিসংঘের সনদের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ইউক্রেন ইস্যুতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি ব্যাপক, ন্যায্য এবং স্থায়ী শান্তি প্রক্রিয়ায় পৌঁছানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পূর্তিকে সামনে রেখে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে উস্কে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক উত্তেজনা ও বিভাজনে ইন্ধন জোগাচ্ছে। এই পরিস্থিতি অন্যান্য সংকট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিচ্ছে এবং বৈশ্বিক সমস্যাগুলোকে চাপ দিচ্ছে… যুদ্ধ কোনো সমাধান নয়। যুদ্ধই সমস্যা। ইউক্রেনীয়, রুশ এবং গোটা বিশ্বের মানুষের শান্তি প্রয়োজন।’   

জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘পশ্চিমারা যে কোনো মূল্যে রাশিয়াকে পরাজিত করতে চায়…যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা গোটা বিশ্বকে যুদ্ধে জড়াতে চায়।’ 

জাতিসংঘের অনুমান অনুসারে, যুদ্ধের ফলে কমপক্ষে ৭ হাজার ১৯৯ জন বেসামরিক লোক মারা গেছেন। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ১ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি লোক বিদেশে শরণার্থী বা ইউক্রেনের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রত্যেকের কমপক্ষে ১ লাখ সৈন্য নিহত বা আহত হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় আগ্রাসন ইউক্রেন আক্রমণে ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রায় ২ লাখ সৈন্য পাঠিয়েছিলেন।