ইউক্রেন ইস্যুতে পুতিনকে সমর্থন দিল সিরিয়া
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র ইউরোপীয় রাষ্ট্রসমূহ এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করলেও পুতিনের স্বীকৃতিকে সমর্থন করেছে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র সিরিয়া।
দ্রুত এই দুটি দেশে নিজেদের দূতাবাস খোলা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে প্রেসিডেন্ট বাশর আল আসাদ শাসিত মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির সরকার।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ বর্তমানে এক সফরে মস্কোতে আছেন। সেখানেই পুতিনের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন জানিয়েছেন।
সিরিয়ার সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
মস্কোতে এক অনুষ্ঠানে সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন লুহানস্ক ও দোনেৎস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন তাকে সিরিয়া সমর্থন করছে।’
এর আগে চলমান ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থন দিয়েছেন নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা। রাশিয়ার অবস্থানকে সমর্থনকারী প্রথম বিশ্বনেতাদের একজন ওর্তেগা।
গতকাল সোমবার ওর্তেগা বলেন, পূর্ব ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঠিক কাজই করেছেন।
দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে ‘প্রজাতন্ত্রের’ স্বীকৃতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর অঞ্চল দুটিতে সেনা পাঠানোর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তিনি রুশ সেনাদের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে শান্তিরক্ষী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, পুতিনের এ-সংক্রান্ত ডিক্রি জারির পর দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কে ট্যাংক ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ঢুকতে দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব পুতিনের এই পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে। এই ঘটনার জেরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই পথে হাঁটছে।