ইউক্রেন যুদ্ধ অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই : পুতিন

Looks like you've blocked notifications!
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর ফেডারেল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দিচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি : রয়টার্স

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এক বছর পেরিয়েছে। এই যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলেই সম্বোধন করে আসছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন। এবার সেটিকে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই বলছেন তিনি। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে রয়টার্স।

লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বকে রাশিয়া এবং রুশ জনগণের অস্তিত্বের যুদ্ধ হিসেবে সম্বোধন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ন্যাটোর পারমাণবিক ক্ষমতা বিবেচনায় আমি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি।’

এক বছর আগে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর অনুমতি দেন পুতিন। এই আগ্রাসন না চালালে রাশিয়া ও রুশ নাগরিকদের ভবিষ্যত বিপথগামী হতো বলে জাহির করছেন তিনি।

আজ রোববার পুতিনের একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে রুশ সম্প্রচারমাধ্যম রোশিয়া১। গত বুধবার রেকর্ড করা ওই সাক্ষাৎকার। সেখানে পুতিন বলেন, ‘পশ্চিমাদের লক্ষ্য একটি—প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং এর মৌলিক অংশগুলোকে ভেঙে ফেলা।’

আগে থেকেই পুতিনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ন্যাটো ও পশ্চিমারা। তাদের দাবি, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কিয়েভকে সহায়তা করছে তারা।

পুতিন বলেছেন, ‘পশ্চিমারা চাই, আমাদের বিভক্ত করতে। এরপরেই তারা আমাদের দেশের জ্বালানি উৎসগুলো দখল করবে। তাদের এই পদক্ষেপে রাশিয়ার সংখ্যাগরিষ্ঠ গোষ্ঠীসহ অনেক মানুষ ধ্বংসের দিকে চলে যাবে।’

রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘তাদের পদক্ষেপের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠসহ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলো বর্তমান সময়ের মতো কতদিন টিকে থাকত, তা আমি জানি না।’ পশ্চিমারা কাগজে কলমে তাদের লক্ষ্য ঠিক করেছিল, এমন দাবি করলেও কোথায় এটি করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছুই জানাননি পুতিন।

রুশ প্রেসিডেন্টের এই অভিযোগও আগে থেকে অস্বীকার করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘রাশিয়া ও ন্যাটোর সংঘর্ষ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনতে পারে।’ এমন অবস্থায় পুতিনের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, ‘এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ১০ হাজার মার্কিন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র বা গোলাবারুদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো। এর মানে দাঁড়ায়, রাশিয়া এখন ন্যাটোর বিরুদ্ধে লড়ছে।’