ইউরোপে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহকারী পাইপলাইন বন্ধ করল ইউক্রেন

Looks like you've blocked notifications!
রাশিয়ার সুদজা গ্যাস পাম্পিং স্টেশন। ফাইল ছবি

রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের লড়াই বুধবার যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে ছড়িয়ে যায়। এদিন রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি পাইপলাইন কেটে দেয় ইউক্রেন। ওই পাইপলাইন দিয়ে ইউরোপীয় আবাসিক বাসভবন ও শিল্পকারখানাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ করা হতো। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের অপারেটর জানিয়েছেন, শত্রু বাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে গ্যাসের আপাত নির্গমনসহ মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি কেন্দ্রের মাধ্যমে রাশিয়ার যে গ্যাসের চালান চলছিল, তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে সরবরাহ করা রাশিয়ার গ্যাসের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে যায়। যদিও এক বিশ্লেষক বলেছেন, গ্যাস সরবরাহ বন্ধের তাৎক্ষণিক প্রভাব খুব বেশি হয়তো নাও হতে পারে, কারণ গ্যাসের বেশির ভাগ অন্য পাইপলাইনের মাধ্যমেও পাঠানো যেতে পারে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস কোম্পানি গ্যাজপ্রম বলেছে, ইউক্রেনের মধ্য দিয়ে ইউরোপে প্রবাহিত গ্যাস আগের দিনের তুলনায় ২৫ শতাংশ কমেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনে রাশিয়ার ১১ সপ্তাহব্যাপী আক্রমণের কারণে রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার ঘোষিত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ঘরবাড়ি ও জ্বালানি শিল্পকে সচল রাখার জন্য রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনতে চাইছে।

তবে, ২৭-সদস্যের ইইউ রাষ্ট্রগুলোর মধ্য থেকে কিছু বিরোধিতাও এসেছে, বিশেষ করে হাঙ্গেরি থেকে। হাঙ্গেরি কর্তৃপক্ষ বলছে—রাশিয়া থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে, তা সে দেশের অর্থনীতি ওপর বড় আঘাত হানবে।

এদিকে, মস্কোর নিয়োগ দেওয়া খেরসন আঞ্চলিক প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিল স্ট্রেমাসভ রাশিয়ার আরআইএ নভোস্তি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘খেরসন শহরটি এখন রাশিয়ার অংশ (নিয়ন্ত্রণে)।’

তবে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক খেরসন দখলের রুশ ধারণাটিকে উপহাস করে টুইট করেছেন : ‘হানাদারেরা এমনকি মঙ্গল বা বৃহস্পতি গ্রহে যোগ দিতেও বলতে পারে। তারা (রাশিয়া) যত শব্দের খেলাই খেলুক না কেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী খেরসনকে মুক্ত করবেই।’

খেরসন কৃষ্ণ সাগরের একটি বন্দরনগরী, যার জনসংখ্যা প্রায় তিন লাখ। এ শহর থেকে প্রতিবেশী ক্রিমিয়ার জন্য পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। যুদ্ধের প্রথম দিকে রুশ বাহিনী শহরটি দখল করেছিল।