ইতালিতে আশ্রয় পেলেন সবুজ চোখের সেই আফগান নারী

Looks like you've blocked notifications!
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হয়ে বিশ্বজুড়ে আফগান যুদ্ধের প্রতীক হয়ে ওঠা সবুজ চোখের সেই শরবত গুলা। ছবি : সংগৃহীত

১৯৮৫ সালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা হয়ে বিশ্বজুড়ে আফগান যুদ্ধের প্রতীক হয়ে ওঠা সবুজ চোখের সেই শরবত গুলাকে আশ্রয় দিয়েছে ইতালি।

বৃহস্পতিবার ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির কার্যালয় থেকে একথা জানানো হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।

গত আগস্টে আফগানিস্তানে তালেবানের পুনরুত্থানের পর অনেকেই দেশ ছেড়েছেন। শরবত গুলাও দেশ ছাড়ার জন্য সহায়তা চাইলে ইতালি সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।

আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য একটি সীমান্ত কর্মসূচির আওতায় শরবত গুলা ইতালি পৌঁছেছেন বলে জানানো হয়েছে সরকারের এক বিবৃতিতে।

১৯৮৫ সালে মার্কিন ফটোগ্রাফার স্টিভ ম্যাককারি আফগান-পাকিস্তান সীমান্তের এক শরণার্থী শিবিরে বাস করা কিশোরী শরবত গুলার ছবি তুলেছিলেন।

ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে সেই ছবি প্রকাশ হলে বিশ্বে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন গুলা। বিবর্ণ পোশাক, ধুলোমাখা বেদনার্ত মুখে শরবত গুলার সবুজ চোখের তীক্ষ্ণ মর্মভেদী চাহনি সবার নজর কাড়ে।

‘আফগান গার্ল’ নামে রাতারাতি পরিচিত হয়ে ওঠে মেয়েটি। তবে তার পরিচয় জানা যায় পরে ২০০২ সালে, যখন ফটোগ্রাফার ম্যাককারি আবার ওই অঞ্চলে তার খোঁজ করতে গিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে গুলা ছিলেন পাকিস্তানে। জাল পরিচয়পত্র নিয়ে দেশটিতে বসবাসের অভিযোগে ২০১৬ সালে তাকে গ্রেপ্তারের পর আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হয়।

তৎকালীন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি শরবত গুলাকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাকে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে থাকার জন্য নতুন অ্যাপার্টমেন্টেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

তখন থেকে শরবত গুলা আফগানিস্তানে বাস করছেন। কিন্তু তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর এখন কাবুল ছেড়ে ইতালি চলে যেতে হলো তাকে।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী বিদায় নেওয়া এবং দেশটি তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর সেখান থেকে বিমানে করে শত শত আফগানকে সরিয়ে নেওয়া কয়েকটি পশ্চিমা দেশের মধ্যে আছে ইতালিও।