ইতালিতে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় সর্বাধিক মৃত্যু, উহানে নতুন আক্রান্ত নেই
চার সপ্তাহ ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ছে ইতালি। এর মধ্যেই গতকাল শুক্রবার দেশটিতে মারা গেছেন সবচেয়ে বেশি মানুষ। দেশটির সরকার গতকাল বিবৃতি দিয়েছে, করোনাজনিত কোভিড-১৯ রোগে ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মারা গেছেন ৬২৭ জন। এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৩২ জনের। এর আগে গত বুধবার ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছিল ৪৭৫ জনের।
এরই মধ্যে আজ বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল চীনের উহান শহরে গত তিন দিনে নতুন করে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। টানা ১৪ দিন যদি উহানে নতুন সংক্রমণ রোধ করা যায়, তাহলে অবরুদ্ধ শহরটিতে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার চীন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জন নতুন আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনে এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার আট জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন তিন হাজার ২৫৫ জন। আর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ৭১২ হাজার ৭৪০ জন।
এদিকে করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সব ক্যাফে, পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিয়েছে যুক্তরাজ্য। করোনাভাইরাসের কারণে যাঁরা কর্মহীন হয়ে বসে থাকতে বাধ্য হবেন, তাঁদের বেতনের ৮০ শতাংশ দেবে ব্রিটিশ সরকার। করোনাজনিত মহামারি মোকাবিলায় ‘ডিফেন্স প্রোডাকশন অ্যাক্ট’ প্রয়োগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে মহামারি মোকাবিলায় সক্রিয় হতে বাধ্য করবে মার্কিন সরকার।
একন পর্যন্ত সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ রোগে মারা গেছেন ১১ হাজার ৪৮৫ জন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মারা গেছেন ইউরোপে। বিশ্বের ১৮৫টি দেশে এখন পর্যন্ত আড়াই লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বে দেশজুড়ে লকডাউনের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছেন। ইরানে সরকারি হিসাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬৪৪ জন। মারা গেছেন এক হাজার ৪৩৩ জন। স্পেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২১ হাজার ৫৭১ জন, মৃতের সংখ্যা এক হাজার ৯৩ জন। যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৬৭১ জন, মারা গেছেন ২৫২ জন। জার্মানিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৮৪৮ জন, মারা গেছেন ৬০ জন। ফ্রান্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজার ৬১২ জন, মারা গেছেন ৪৫০ জন।