ইন্দোনেশিয়ায় অনুমোদন পেল নোভাভ্যাক্স কোভিড-১৯ টিকা

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের নতুন কোভিড-১৯ টিকা। ছবি : রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ায় জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেকনোলজি কোম্পানি নোভাভ্যাক্সের নতুন কোভিড-১৯ টিকা। বিশ্বে ইন্দোনেশিয়াই প্রথম এই টিকার অনুমোদন দিল।

ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইইউএ সোমবার এই অনুমোদন দেয়। এরপর নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী স্ট্যানলি আর্ক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারত, ফিলিপাইনসহ আরও কিছু দেশ এ টিকা অনুমোদন দেবে বলে আশা করছেন তারা।

ইন্দোনেশিয়ার জন্য নোভাভ্যাক্সের টিকা উৎপাদন করবে বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা উৎপাদক কোম্পানি সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সিরাম কোম্পানির ব্র্যান্ড ‘কোভোভ্যাক্স’ নামেই এসব টিকা বাজারজাত করা হবে। নোভাভ্যাক্স ইন্দোনেশিয়ায় শিগগিরই তাদের টিকার প্রথম চালান পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে চূড়ান্ত ধাপের ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনাভাইরাসের উদ্বেগজনক বিভিন্ন ধরন মোকাবিলায় নোভাভ্যাক্সের টিকা ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর হয়েছে।

নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী সোমবার রয়টার্সকে ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) টিকা সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করছে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে পারবেন তারা।

নোভাভ্যাক্স জানায়, টিকাটি অনুমোদন পাওয়ার জন্য তারা কানাডা ও ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির (ইএমএ) কাছে আবেদন করেছিল। এরপর কোম্পানির শেয়ারের মূল্য এক লাফে ১৩ শতাংশ বেড়ে যায়।

আগামী দিনগুলোতে ডব্লিউএইচও টিকাটিকে সবুজ সংকেত দিলে এটি কোভ্যাক্স প্রোগ্রামে পাঠানো শুরু করা সম্ভব হবে। কোভাক্সের আওতায় নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

এ বছর কোভ্যাক্সে কিছু টিকা পাঠানো সম্ভব হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন নোভাভ্যাক্সের প্রধান নির্বাহী।