ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের আল-কাদরি ট্রাস্ট মামলায় যা রয়েছে

Looks like you've blocked notifications!
ইমরান খানের ফাইল ছবি রয়টার্সের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান গ্রেপ্তার হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৯ মে) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। খবর জিও টিভির।

২০২২ সালের ১০ এপ্রিল অনাস্থা ভোটে হেরে প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে অপসারিত হন। এর পর থেকে শতাধিক মামলা হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা।

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলা

ইমরান খান, তার স্ত্রী বুশরা বিবি, তাদের ঘনিষ্ঠ মোহাম্মদ বুখারি ও বাবার আওয়ান আল-কাদির ট্রাস্ট গঠন করে। শিক্ষার অগ্রগতির জন্য দেশটির পাঞ্জাবের ঝেলহুম জেলার সোহাওয়া শহরে ওই ট্রাস্টটির অধীনে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই ট্রাস্টটির কার্যালয় ইসলামাবদের বানি গালাতে।

ট্রাস্টে অনুদান পাওয়ার আশায় ২০১৯ সালে ইসলামাবাদভিত্তিক বাহারিয়া শহরের একটি আবাসন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা। ঠিক সেই সময়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত এক পাকিস্তানি নাগরিকের কাছে অবৈধভাবে পাঁচ হাজার কোটি রুপি (পাকিস্তানের মুদ্রা) পাঠানো হয়, যা বিট্রিশ ন্যাশনাল ক্রাউম এজেন্সির (এনসিএ) কাছে ধরা পড়ে। বিষয়টি পিটিআই সরকারকে অবহিত করে এনসিএ। এটির সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই আবাসন কোম্পানি। তবে, এ সময়ে কোনো কোম্পানিটির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পিটিআই সরকার। বরং, ‘ঘুষ হিসেবে’ আল-কাদরি ট্রাস্টের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাহারিয়া শহরে ৪৫৮ কানাল বা পাঁচ হাজার ৭২৫ শতাংশ জমি ট্রাস্টকে দেয় ওই আবাসন কোম্পানি।

গত জুনে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করে পাকিস্তানের বর্তমান সরকার। ওই সময় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছিলেন, ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা আল-কাদরি ট্রাস্টের সুবিধার জন্য বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। এটি তদন্ত করবে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) একটি কমিটি।

এ মামলায় গত ১ মে-তে এনএবি ইমরান খানের বিরদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ান জারি করে। সেই পরোয়ানায় আজ দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরানকে।