ইরাকের পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছে বিক্ষোভকারীরা

Looks like you've blocked notifications!
ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছে শত শত বিক্ষোভকারী। ছবি : রয়টার্স

ইরাকের রাজধানী বাগদাদের গ্রিন জোনের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছে শত শত বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ধর্মগুরু মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দেওয়ার জেরে তারা বিক্ষোভ করেছে।

আল-সদরের রাজনৈতিক জোট গত অক্টোবরে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ভোটের পরে রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে তারা ক্ষমতায় নেই।

পুলিশ বিক্ষোভকারীদের থামাতে টিয়ার শেল ও ওয়াটার ক্যানন ব্যবহার করে। এ সময় কোনো আইনপ্রণেতা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। খবর বিবিসির।

বিক্ষোভকারীরা বাগদাদের গ্রিন জোনের নিরাপত্তা বলয় ভেদ করতে সক্ষম হয়। যেখানে বিভিন্ন দূতাবাস ও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের কার্যালয় অবস্থিত।

একটি নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের থামিয়েছিল বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু তারপরে তারা ‘পার্লামেন্টে হামলা চালায়’।

ইরাকের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মোস্তাফা আল-কাদিমি বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট ভবন ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যদিও তারা সেখানে গান গাইছেন, নাচছেন এবং টেবিলে শুয়ে আছেন।

নয় মাস ধরে চলা অচলাবস্থার পর রাজনৈতিক অস্থিতার মধ্যে পড়ল দেশটি। শিয়া ধর্মগুরু আল-সদর, যিনি ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের তীব্র বিরোধীদের একজন। তিনি গত অক্টোবরে হওয়া নির্বাচনে তাঁর জোটের জয় দাবি করেন। যখন দেখা গেল তাঁর জোট সরকার গঠনে সক্ষম নন তখন তিনি বিরোধীদের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।

পরে তিনি ও তাঁর সমর্থকরা প্রধানমন্ত্রী পদে মুহাম্মেদ আল-সুদানির বিরোধীতা করেন। কেননা, তাদের ধারণা, তিনি ইরান ঘনিষ্ঠ।

বুধবারের ঘটনা বহু সংকট পার করে আসা তেল সমৃদ্ধ ইরাকের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এর আগে দুর্নীতি ও বেকারত্ব কারণে ২০১৯ সালেও দেশটিতে হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।