ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় দ্রুত ফিরতে আশাবাদী ৪ পশ্চিমা নেতা

Looks like you've blocked notifications!
(বাঁ থেকে) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাঁর তিন ইউরোপীয় মিত্র গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন—তাঁরা নিশ্চিত যে, ‘ইরান পরমাণু সমঝোতা’ পুনরায় কার্যকর করা সম্ভব। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা নিয়ে সৃষ্ট চলমান অচলাবস্থার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং তিন ইউরোপীয় দেশের শীর্ষ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ইরান তার আচরণ পরিবর্তন করলে এ সমঝোতা আবার কার্যকর করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির শীর্ষ নেতারা গতকাল শনিবার এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে এ মন্তব্য করেছেন।

ইতালির রোমে গতকাল শুরু হওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের একটি সাইড ইভেন্টে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ওই বৈঠকের পর ইরানের পরমাণু সমঝোতার বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।

যৌথ বিবৃতিতে চার নেতা বলেন, তাঁরা বিশ্বাস করেন ইরানের পরমাণু সমঝোতায় ফেরার বিষয়ে দ্রুত বোঝাপড়া করে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

ইরানের প্রতি বার্তা

জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রপ্রধানেরা ইরানের পরমাণু কর্মকাণ্ড নিয়ে আলোচনা করতে আলাদাভাবে বৈঠকে বসেন। যদিও ইরান জি-২০ ফোরামের সদস্য দেশ নয়।

বৈঠক শেষে চার দেশের নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরান যদি তার পরমাণু কার্যক্রম আরও বাড়াতেই থাকে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ২০১৫ সালের পরমাণু বিষয়ক চুক্তিতে ফিরে যাওয়া এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা ব্যাহত হবে।’

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসির উদ্দেশে চার ক্ষমতাধর দেশের নেতারা বলেন, ‘ভয়াবহ উত্তপ্ত পরিস্থিতি এড়াতে চাইলে রায়িসি যেন গতিপথ পরিবর্তন করেন।’

ইরান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভিয়েনায় পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনায় ফিরতে সম্মত হওয়ার দুদিনের মাথায় এ বিবৃতি প্রকাশ করা হলো।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কঠিন কঠিন সব নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। অন্যদিকে, এর জবাবে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম আরও বাড়িয়েছে।

তেহরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা নিয়ে আলোচনা কয়েক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। নভেম্বরে তা আবার শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।