ইরানে বিক্ষোভ দমাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুলিশ মোতায়েন

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশ হেফাজতে মাশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ছবি : রয়টার্স

ইরানে দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভ দমানোর জোরাল পদক্ষেপ হিসেবে এবার কয়েকটি নগরীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।

ঠিকমত হিজাব না পরায় মাশা আমিনি নামে ২২ বছরের এক নারীকে নীতি পুলিশ আটক করার পর তাদের হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হলে ইরানজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

কয়েক বছরের মধ্যে ইরানে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ দেশটির ধর্মীয় নেতাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাশার দাফনের দিন থেকে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল তার আগুন এখন পুরো ইরানজুড়ে জ্বলছে। এবারের বিক্ষোভে নারীদের অংশগ্রহণও উল্লেখ করার মতো। খবর রয়টার্সের।

বিক্ষোভে এরই মধ্যে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। তারপরও চলছে বিক্ষোভ। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সম্প্রতি কয়েকদিনে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

ফলে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করতে বুধবার ইরানের উরমিয়া, তাবরিজ, রাসত নগরীসহ রাজধানী তেহরানের বিশ্ববিদ্যালয়েও নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচুর সদস্য। এই বিদ্যাপীঠের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি এমনকী ক্যাম্পাস ছেড়ে যেতেও ভয় পাচ্ছি। শিক্ষার্থীদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য বাইরে প্রচুর পুলিশ ভ্যান দাঁড়িয়ে আছে।’

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর দমনাভিযানে শত শত বিক্ষোভকারী আহত হয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ১৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার হিসাব দিয়েছে।

তবে কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ-সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীতেও বহু সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে এবং দেশে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ ইরানের বিদেশি শত্রুদের দায়ী করেছে।