এক চোখের দৃষ্টিশক্তি, এক হাতের কর্মক্ষমতা হারালেন সালমান রুশদি

Looks like you've blocked notifications!
বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে গত আগস্টে ছুরি হামলার শিকার বুকারজয়ী ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক সালমান রুশদি এক চোখের দৃষ্টিশক্তি ও এক হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। তাঁর প্রতিনিধি অ্যান্ড্রু ওয়াইলি স্পেনের সংবাদপত্র এল পাইসকে রোববার এ তথ্য জানান। খবর বিবিসির।

রুশদির ওপর হামলাকে নৃশংস আখ্যা দিয়ে অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেন, তিনি (রুশদি) এক চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। তাঁর বুকে আরও ১৫টির মতো ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। তাঁর ঘাড়ে তিনটি আঘাত করা হয়; এগুলো ছিল গুরুতর।

তিনি আরও বলেন, রুশদি এক হাতের কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। কারণ, ছুরিকাঘাতে হাতটির নার্ভ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

রুশদি এখনো হাসপাতালে আছেন কি না, এই প্রশ্নে ওয়াইলি বলেন, ‘তাঁর অবস্থান সম্পর্কে আমি তথ্য জানাতে পারব না। তিনি যে বেঁচে আছেন, এটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক সালমান রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে মিডনাইট’স চিলড্রেন বইয়ের জন্য বুকার পুরস্কার জেতেন তিনি। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে তাঁকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন যুক্তরাজ্যের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।

১৯৮৮ সালে রুশদির চতুর্থ বই দ্য স্যাটানিক ভার্সেস প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর একাধিকবার হত্যার হুমকি পান তিনি। এ জন্য তাঁকে ১০ বছর আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে।

স্যাটানিক ভার্সেস উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে মনে করেন অনেক মুসলিম। বইটি প্রকাশের এক বছর পরই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সেই সঙ্গে তাঁর মাথার দাম হিসেবে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার ঘোষণা করেন।

গত ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের শিটোকোয়া ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে সালমান রুশদির ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আটক সন্দেহভাজন তরুণ হাদি মাতার (২৪) মার্কিন নাগরিক। তবে হাদি মাতার রুশদিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।