এক বছর ধরে মর্গে পড়ে আছে জন ম্যাকাফির মরদেহ

Looks like you've blocked notifications!
অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের উদ্যোক্ত জন ম্যাকাফি। ছবি : সংগৃহীত

এক বছর ধরে স্পেনের মর্গে পড়ে আছে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের উদ্যোক্ত জন ম্যাকাফির মরদেহ। ম্যাকাফির মৃত্যুর কারণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের কারণে দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর মরদেহ সেখানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পেনের কর্মকর্তারা।

আশির দশকে অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার বাজারে আনেন জন ম্যাকাফি। ধীরে ধীরে তাঁর অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের কদর বাড়ার সুবাদে বেড়েছিল সম্পত্তিও। সফটওয়্যার জগতের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় স্থান পায় ম্যাকাফির নাম।

২০২০ সালে নিউইয়র্কের একটি ক্রিপ্টোকারেন্সি জালিয়াতির মামলায় জড়িয়ে যায় তাঁর নাম। সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে টেনেসিতে মোটা অঙ্কের কর ফাঁকিরও অভিযোগ ছিল। এ ছাড়া প্রতিবেশীকে খুনের গুরুতর অভিযোগও ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। খবর ফ্রান্স২৪-এর।

গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে পালিয়ে যান ম্যাকাফি। ২০২০ সালের অক্টোবরে তাঁকে স্পেনের বার্সেলোনা বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২১ সালের জুনে স্পেনের উচ্চ আদালত তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যার্পণের অনুমতি দেয়। এরপর তাঁকে জেল হেফাজতে রাখা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, আত্মহত্যা করেছিলেন ম্যাকাফি। তবে ম্যাকাফির স্ত্রীর দাবি, তাঁর স্বামী আত্মহত্যা করার লোক ছিলেন না, তিনি মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান।

৭৫ বছর বয়সি ম্যাকাফির পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্ত অসম্পূর্ণ ছিল এবং তারা পুনরায় ময়নাতদন্তের অনুরোধ জানান। স্থানীয় আদালত সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তারা নিম্ন আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করে। আপিল আদালত জানিয়েছেন, আপিলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ম্যাকাফির মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না।

ম্যাকাফি স্ত্রী জেনিস গতকাল বৃহস্পতিবার টুইটারে লিখেছেন, ‘গত বছর এই জীবন কেমন ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’

ম্যাকাফির দেহাবশেষ হস্তান্তরের জন্য স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষকে ‘চাপ দিতে’ একটি অনলাইন পিটিশনে স্বাক্ষরের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।