এবার পিএফআইয়ের ওয়েবসাইট, ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের ইসলামি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) নিষিদ্ধের পর এবার তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের ইসলামি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া (পিএফআই) নিষিদ্ধের পর এবার তাদের ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির খবরে এসব কথা বলা হয়েছে।

দেশজুড়ে পিএফআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পরই গতকাল বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচ বছরের জন্য পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপরই পিএফআইয়ের সব ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পিএফআইকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। বেআইনি কার্যকলাপ নিরোধ আইনে (ইউএপিএ) এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু পিএফআই-ই নয়, এর অন্যান্য শাখা সংগঠনকেও যুক্ত করা হয়েছে।

পিএফআইয়ের অফিশিয়াল টুইটার, পিএফআইয়ের প্রধান ও এম এ সালামের অ্যাকাউন্ট ও সাধারণ সম্পাদক আনিস আহমেদের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পিএফআইয়ের @পিএফআই অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে অনুসারী ৮১ হাজার, ও এম এ সালামের অনুসারী ৫০ হাজার, আনিস আহমেদের অনুসারী ৮৫ হাজার।

গত এক সপ্তাহে দুবার দেশজুড়ে এ সংগঠনের বিভিন্ন অফিস ও নেতা-কর্মীদের বাড়ি তল্লাশি চালানো হয়। বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধার করা হয় কোটি কোটি রুপি ও বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি। আটক করা হয় ২৭০ নেতা-কর্মী-সমর্থককে।

কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতি অনুযায়ী, পিএফআইয়ের সঙ্গে বেআইনি ঘোষিত হয়েছে এরই শাখা সংগঠন রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ইমামস কাউন্সিল, ন্যাশনাল কনফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন, ন্যাশনাল উইমেনস ফ্রন্ট, এমপাওয়ার ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন। ইউএপিএ আইনের ৩৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, দেশের মোট ৪২টি সংগঠন এখনো নিষিদ্ধ। পিএফআই সে তালিকার নবতম সংযোজন।