‘ওভার দ্য হরাইজন’ নিয়ে ভারতের সঙ্গে যুক্ত থাকবে যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিনকেন

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ছবি : সংগৃহীত

দূরবর্তী স্থান থেকে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার সক্ষমতা (ওভার দ্য হরাইজন বা ওটিএইচ) ও পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে এ কথা জানান তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এর আগে তথাকথিত ‘ওভার দ্য হরাইজন’ সক্ষমতা নিয়ে আলোচনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বারবার বিমানবাহিনীর নজরদারি এবং দেশের বাইরে থেকে চালানো ড্রোন দিয়ে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত ও প্রতিহত করার কথা বলেছেন।

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর দেশটি থেকে যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদী হুমকি প্রতিহত করতে ‘ওভার দ্য হরাইজন’ কৌশল অবলম্বন করা হবে বলে মার্কিন জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং তাঁর প্রশাসনের মুখপাত্ররা বলেছেন, বিভিন্ন হুমকি শনাক্ত করা এবং প্রয়োজনে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ‘ওভার দ্য হরাইজন’ সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।

‘ওভার দ্য হরাইজন’-এর জন্য কবে নাগাদ ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যোগাযোগ করবে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কংগ্রেসম্যান মার্ক গ্রিন জানান, ‘সম্ভাবনার দিক থেকে আমি উত্তর-পশ্চিম ভারতের সঙ্গে কথা বলছি, কারণ আমরা জানি, কাতার ও দোহা এবং কুয়েতসহ অন্যান্য স্থান একটু দূরে অবস্থান করছে।’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনকে উদ্দেশ করে এ সময় মার্ক গ্রিন বলেন, ‘ভারতের উত্তরাঞ্চল নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে? আপনারা কি এ ব্যাপারে ভেবেছেন?’

জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে ভারতের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। ওভার দ্য হরাইজন সক্ষমতা এবং আমাদের যে পরিকল্পনা রয়েছে, তা অব্যাহত থাকবে।’

আফগানিস্তানে বাইডেন প্রশাসনের ‘ওভার দ্য হরাইজন’ কৌশলটি আইনপ্রণেতা থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ দমন বিশেষজ্ঞদের কড়া প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। কারণ, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সংশ্লিষ্ট হুমকি ও সক্ষমতা নিয়ে সব হিসাব বদলে গেছে।

সমালোচকেরা বলছেন, বাইডেন ও তাঁর দল এখন পর্যন্ত সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম নিয়ে তাদের বিস্তারিত পরিকল্পনা অথবা ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।

চলতি মাসে ওয়াশিংটনে কোয়াডভুক্ত দেশগুলোর নেতারা প্রথমবারের মতো মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে সাক্ষাৎ হবে বলে জানা গেছে।