‘ওমিক্রন থামাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাই সমাধান নয়’
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাই একমাত্র সমাধান নয়। দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস, সিডনি’র বিশ্ব স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন বিষয়ের অধ্যাপক অ্যান্থনি জি’র এক লেখায় এমনটি দাবি করা হয়েছে। লেখাটি বার্তা সংস্থা রয়টার্সও প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্তের কথা জানা যায় গত সোমবার (২২ নভেম্বর)। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশসহ অনেক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা এবং এর প্রতিবেশী কিছু দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা বা ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সর্বশেষ ইসরায়েল সব দেশ থেকেই বিদেশিদের ওপর ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এ নিয়ে আক্ষেপ জানিয়েছে। একাধারে চারদিক থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়টিকে ‘অযৌক্তিক’ বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জো ফাহালা।
দ্য কনভারসেশনে প্রকাশিত লেখায় বলা হয়েছে, ডব্লিউএইচও কখনও গড়পড়তা ফ্লাইট বাতিল বা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার পরামর্শ দেয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব পদক্ষেপের কার্যকারিতা প্রমাণিত, সেগুলোর দিকে নজর দেওয়া দরকার, যেমন—টিকাদান, নিয়মিত হাত জীবাণুমুক্তকরণ, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ভালভাবে মাস্ক পরা এবং ভেন্টিলেশনের সঠিক ব্যবস্থা থাকা।
ওমিক্রনের পর সব দেশকে করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে ডব্লিউএইচও। রোগীদের ওপর নজরদারি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। নতুন এ ভ্যারিয়্যান্টের বিষয়ে বিজ্ঞানীদের আরও ভালো জানাশোনা তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত বাড়তি সতর্কতা জারির কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।