কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের ব্যর্থতার আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন জাতিসংঘের প্রধান
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বর্তমান জলবায়ু পরিস্থিতি ‘বিপর্যয়ের দিকে একমুখী পথে ধাবিত হচ্ছে’। এ অবস্থায় তিনি গ্লাসগোতে অনুষ্ঠাতব্য কপ২৬ জলবায়ু সম্মেলনের ব্যর্থতা এড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতি ২০১৫ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত কপ২১ জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের চুক্তির লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ ব্যর্থ করে দিচ্ছে। কপ২১ চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা, বিশেষ করে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রাখার আহ্বান জানানো হয়। যদিও জাতিসংঘের বর্তমান অনুমিত হিসাবে এই উষ্ণতা ‘বিপর্য়য়কর’ ২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আভাস দিচ্ছে।
জাতিসংঘের প্রধান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, বর্তমান সূচকগুলো যে আভাস দিচ্ছে, তা একমুখী বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
‘কভারিং ক্লাইমেট নাউ’ আন্তর্জাতিক প্রকল্পের সদস্যদের সঙ্গে একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘপ্রধান বলেন, ‘মুষ্টিমেয় কয়েকটি দেশের কার্বন দূষণ মানবতাকে চূড়ান্ত বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে এবং এর সবচেয়ে বড় দায় মানুষের।’
অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আশা করি গ্লাসগোতে ব্যর্থতা এড়ানোর জন্য আমরা এখনও সঠিক অবস্থানে রয়েছি। তবে, সময় কমে আসছে, বিষয়টি আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এবং এ জন্য আমি অত্যন্ত চিন্তিত। আমি খুবই ভয় পাচ্ছি যে এ বিষয়ে ভুল হতে পারে।’
‘বিশ্বে কার্বন দূষণের জন্য চার পঞ্চমাংশ দায়ী বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর নেতারা রোমে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবেন।’ উল্লেখ করে গুতেরেস বলেন, ‘তারা যদি এগিয়ে না আসেন তাহলে আমরা ভয়াবহ মানব দুর্ভোগের মধ্যে পড়ব।’
জাতিসংঘপ্রধান বলেন, ‘চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত যা ঘোষণা করেছে তার চেয়ে বেশী কিছু করতে হবে।’
৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিতব্য গ্লাসগো সম্মেলনকে বৈশ্বিক উষ্ণতা হ্রাসের জন্য বিশ্বব্যাপী কার্বন নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।