করোনার নতুন ধরনের নাম ‘ওমিক্রন’, সংক্রমণের মাত্রা ‘উদ্বেগজনক’ : ডব্লিউএইচও
নভেল করোনাভাইরাসের নতুন একটি ধরন বা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণের মাত্রাকে ‘উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভ্যারিয়্যান্টটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওমিক্রন’। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টে এরই মধ্যে ব্যাপক রূপান্তর (মিউটেশন) ঘটেছে এবং প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ দেখে মনে হচ্ছে—এ ভ্যারিয়্যান্টে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
সময়ের ব্যবধানে নভেল করোনাভাইরাসের পরিবর্তন বা রূপান্তর অস্বাভাবিক নয়। তবে, করোনার একটি ভ্যারিয়্যান্ট যখন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে বা টিকার কার্যকারিতাকে ব্যাহত করে, তখন তাকে ‘ভ্যারিয়্যান্ট অব কনসার্ন’, অর্থাৎ এর সংক্রমণের মাত্রাকে ‘উদ্বেগজনক’ ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ‘ওমিক্রন’ ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণের বিষয়টি ডব্লিউএইচও’র নজরে আসে। এরই মধ্যে বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েলে এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এদিকে, অনেক দেশ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা বা বিভিন্ন শর্ত আরোপ করতে শুরু করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া, জিম্বাবুয়ে, বতসোয়ানা, লেসোথো ও এসওয়াতিনি থেকে ভ্রমণকারীরা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের নাগরিক বা যুক্তরাজ্যে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তরা এসব দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে ঢুকতে পারবেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রও শিগগিরই দক্ষিণ আফ্রিকা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, নামিবিয়া, লেসোথো, এসওয়াতিনি, মোজাম্বিক ও মালাওয়ি ছেড়ে আসা ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের জীববিজ্ঞানী অধ্যাপক জেমস নেইস্মিথ বিবিসিকে বলেছেন, ‘এটা দুঃখজনক খবর, কিন্তু তার মানে এই নয় যে—পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফসি সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘নতুন ভ্যারিয়্যান্টের সতর্ক সংকেত এসেছে, কিন্তু টিকা এখনও হয়তো মারাত্মক অসুস্থতা প্রতিরোধে কাজ করতে সক্ষম।’
ড. ফসি বলেন, ‘সঠিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতে আপনার শরীরে যেসব অ্যান্টিবডি রয়েছে, এ ভ্যারিয়্যান্ট সেই বুহ্য ভেদ করতে সক্ষম কি না, তা (এখনই) আমরা জানতে পারছি না।’