করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টের অদ্ভুত মন্তব্য

Looks like you've blocked notifications!
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসোনারো। ছবি : সংগৃহীত

নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আগেও খবরের শিরোনাম হয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জয়ের বলসোনারো। কিন্তু, এবার যেন আগের সব মাত্রা ছাড়িয়ে গেলেন। সম্প্রতি ফাইজারের তৈরি করোনা টিকা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে ‘মেয়েদের গোঁফ গজানো, পুরুষের কণ্ঠ মেয়েলি হয়ে যাওয়া কিংবা মানুষ থেকে কুমিরে রূপান্তরিত হওয়া’—এমন অদ্ভুতসব কথা বলেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, করোনা টিকা নেওয়ার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ‘কোনো দায় নেই’—এমন মন্তব্য করে গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়ে নানা কথা বলেন বলসোনারো।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ফাইজারের চুক্তিতে পরিষ্কার করে বলা আছে, ‘কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে আমরা দায়ী নই।’ (টিকা নিয়ে) আপনি যদি কুমির হয়ে যান, সেটা আপনার সমস্যা।” নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড পত্রিকার অনলাইনে এ খবর জানানো হয়েছে।

বলসোনারো আরো বলেন, ‘আপনি যদি সুপারম্যান হয়ে যান, কোনো নারীর গোঁফ গজাতে শুরু করে কিংবা কোনো পুরুষ মেয়েলি স্বরে কথা বলতে শুরু করে, তাহলে তাতে তাদের (ফাইজার) কোনো দায় থাকবে না।’

করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের সময় থেকেই মহামারিকে গুরুত্ব দিতে চাননি বোলসোনারো। চরম ডানপন্থি এই নেতা করোনাকে ‘সামান্য জ্বর’ বলে হেয় করেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পর তৃতীয় দেশ হিসেবে ব্রাজিলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ লাখ ছাড়িয়ে গেলেও বলসোনারো এটাকে ততটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট সাফ জানিয়ে রেখেছেন, তিনি টিকা নেবেন না। গত জুলাইয়ে বলসোনারো করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। ব্রাজিলে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের বিষয়ে বলসোনারো বলেন, ‘যারা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক, তাদের সবাইকেই দেওয়া হবে। তবে আমি ভ্যাকসিন নেব না। কেউ কেউ বলে আমি নেতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করছি। কিন্তু সেই নির্বোধ, সেই গবেটদের আমি বলব, আমি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলাম, (এতে করে) আমার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে,  তাই ভ্যাকসিন নিয়ে কী করব?’

যদিও ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট সে দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের কথা উড়িয়ে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে রেখেছে। তবে সেইসঙ্গে আদালত জানিয়েছেন, প্রতিষেধক কেউ  নিতে না চাইলে তাকে জোর করা হবে না। তবে কেউ টিকা না নিলে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো এলাকায় সেই ব্যক্তির প্রবেশাধিকার কেড়ে নেওয়ার এবং নির্বাসিত করার ক্ষমতা প্রশাসনের হাতে থাকবে।