কাতারে এক দশকে ১০১৮ বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু : দ্য গার্ডিয়ান

Looks like you've blocked notifications!
কাতারে মারা যাওয়া অভিবাসী শ্রমিক মধু বুল্লাপালির ছবি হাতে তাঁর স্ত্রী ও ছেলে। ছবি সংগৃহীত

ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ঘোষিত হওয়ার পর থেকে গত ১০ বছরে (২০১০-২০২০) কাতারে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছে। এদের মধ্যে অন্তত এক হাজার ১৮ জন বাংলাদেশি। আজ মঙ্গলবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এ ছাড়া ভারতের দুই হাজার ৭১১ জন, নেপালের এক হাজার ৬৪১ জন, পাকিস্তানের ৮২৪ এবং শ্রীলঙ্কার ৫৫৭ জন অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছে।

এক দশক আগে ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচিত হয় কাতার। এর পর পরই অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। বিশ্বকাপের জন্য নতুন সাতটি স্টেডিয়ামসহ কয়েক ডজন বিশাল প্রকল্প হাতে নেয় কাতার।

এরই মধ্যে এর বেশ কয়েকটির কাজ শেষ ও বাকিগুলোর কাজ এগিয়ে চলেছে পুরোদমে। আর এই কাজ করছে মূলত দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অভিবাসী শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ১০ বছরে কাতারে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা, এই পাঁচটি দেশের সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছে।

মৃত্যুর মোট সংখ্যাটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি, কারণ এর সঙ্গে অন্যান্য যেসব দেশ কাতারে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক পাঠিয়েছে তাদের (যেমন ফিলিপিন্স ও কেনিয়া) মৃতদের যোগ করা হয়নি। ২০২০ সালের শেষ দিকে যাদের মৃত্যু হয়েছে তাদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।