কানাডার সীমান্তে আরও এক রহস্যময় বস্তু ভূপাতিত করল যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
ছবিটি রয়টার্সের ভিডিও থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে গুপ্তচর বেলুনের পর রহস্যময় বস্তুর রেশ যেন কাটছেই না। ফের কানাডা সীমান্তের যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে দেখা মিলেছে রহস্যময় বস্তুর। এবারেরটিও যুদ্ধবিমান দিয়ে ভূপাতিত করা হয়েছে। দেশটির স্থানীয় সময় রোববার ভূপাতিত করা বস্তুটি অষ্টভুজাকার বলে জানা গেছে। পেন্টাগনের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

পেন্টাগন বলছে, রোববার যুদ্ধবিমান দিয়ে কানাডা সীমান্তের হারুন লেকের ওপর থেকে অষ্টভুজাকার একটি রহস্যময় বস্তু ভূপাতিত করা হয়েছে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের একটু বেশি সময়ের মধ্যে আকাশ থেকে চারটি বস্তু ধ্বংস করা হলো।

এক বিবৃতিতে পেন্টাগনের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট্রিক রাইডার বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে স্থানীয় সময় রোববার দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিয়ে চতুর্থ বস্তুটি ধ্বংস করা হয়। এটি আমাদের সামরিক বাহিনীর জন্য হুমকি প্রদর্শন করেনি। তবে, অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য বাধা হতে পারতো। রহস্যময় বস্তুটি ২০ হাজার কিলোমিটার চলেছে। এমনকি এটির নজরদারি করার ক্ষমতা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’

রোববার ভূপাতিত করা বস্তু নিয়েও চীনকে সন্দেহ করছে ওয়াশিংটন। তাদের দাবি, নজরদারির জন্যই তারা এমনটা করেছে। তবে নজরদারি বস্তু নিয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তারা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘ভূপাতিত করা সর্বশেষ তিনটি বস্তু নিয়ে তারা জ্ঞাত নয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর প্রধান গ্লেন ভ্যানহার্ক বলেন, ‘সর্বশেষ ভূপাতিত করা তিনটি বস্তু কোথা থেকে এসেছে বা কি কাজে ব্যবহৃত হতো তা আমরা শনাক্ত করতে পারেনি। আমরা সেগুলোকে বস্তু হিসেবেই সম্বোধন করছি, বেলুন নয়।’

নাম প্রকাশ করার না শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর এক ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা বলেন, ‘বস্তুগুলো বহির্মুখী ছিল, এমন কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’

সাংবাদিকদের গ্লেন ভ্যানহার্ক বলেন, ‘সম্প্রতি মন্টানার স্পর্শকাতর সামরিক সাইটে শনাক্ত করা বস্তুর মতোই এবারেরটি। বস্তুটির ধ্বংসাশেষ উদ্ধারে লেক হারুন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ ভূপাতিত বস্তুটি কানাডার জলসীমায় পড়তে পারে বলে ধারণা তার।

রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একের পর এক বস্তু শনাক্ত নতুন করে প্রশ্ন তুলছে। এমনকি বিষয়টি নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে।

গত জানুয়ারির শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে একটি চীনা গুপ্তচর বেলুন শনাক্ত হয়। ৪ ফেব্রুয়ারি এফ-২২ যুদ্ধবিমান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বেলুনটি ধ্বংস করে মার্কিন সামরিক বাহিনী। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের জলসীমায় পড়ে। দ্বিতীয় বস্তটি আলাস্কার পার্শ্ববর্তী ডেডহর্সে ও তৃতীয়টি কানাডার ইউকুনে ভূপাতিত করা হয়। বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেলেও পরের দুই রহস্যময় বস্তুর জন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে।