কারাবন্দি মায়ের কাছ থেকে সরানো শিশুর মৃত্যু, ফিলিপাইনে তোলপাড়

Looks like you've blocked notifications!
ম্যাসিনোকে জন্ম দেওয়ার পর মেয়ের সঙ্গে মা ন্যাসিনোর সেলফি। ছবি : সংগৃহীত

কারাবন্দি মায়ের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া তিন মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের নভেম্বরে আটকের সময়ও ফিলিপাইনের মানবাধিকারকর্মী রেইনা মে ন্যাসিনো জানতেন না যে তিনি সন্তানসম্ভবা। নানাবিধ আইনি জটিলতা সত্ত্বেও সন্তান ধারণে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন কারাবন্দি ন্যাসিনো। পরে গত ১ জুলাই কারাবন্দি অবস্থায় সন্তান জন্ম দেন তিনি। সন্তানের নাম রাখেন রিভার ম্যাসিনো।

ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী, এক মাস পর হাজতবাসী মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে রাখা হয় শিশু ম্যাসিনোকে। এর দুই মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে গত সপ্তাহে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ফিলিপাইনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব পিপলস ল ইয়ারসসহ বেশি কিছু সংগঠনের পক্ষ থেকে ন্যাসিনোর মুক্তি চাওয়া হয়। কিন্ত তাতে সাড়া না দেওয়ার পর শিশুটির মৃত্যু হলো। দেশটির প্রথিতযশা ব্যক্তিবর্গের অনেকেই এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

ম্যানিলায় কাদামে নামের একটি দারিদ্র্য বিমোচন সংস্থায় কাজ করতেন ন্যাসিনো। গত বছর সংস্থাটির কার্যালয় থেকে অস্ত্রসহ ন্যাসিনো ও তাঁর দুই সহকর্মীকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রেইনা মে ন্যাসিনো অবশ্য দাবি করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের ফাঁসাতে সংস্থার কার্যালয়ে অস্ত্র রেখে তাঁদের আটক করে।

ফিলিপাইনের আইন অনুযায়ী, কারাবন্দি অবস্থায় সন্তান জন্ম দিলে প্রথম মাস মায়ের কাছে রাখা যাবে নবজাতককে। তবে অসুস্থতা বিবেচনায় এর ব্যতিক্রম করার সুযোগ রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ মালয়েশিয়ায় মায়ের বন্দিদশায় জন্ম নেওয়া শিশুদের তিন-চার বছর বয়স পর্যন্ত মায়ের কাছে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যে ১৮ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের সঙ্গে থাকতে পারে এমন শিশুরা।