কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম কেটে দিল যুক্তরাষ্ট্র

Looks like you've blocked notifications!
সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদক। ছবি : রয়টার্স

টানা ২৭ বছর কালো তালিকায় রাখার পর ‘সন্ত্রাসবাদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে সুদানের নাম বাদ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সুদানের নাম ওই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। খবর ডয়েচে ভেলে ও রয়টার্সের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও সুদানের বিষয়ে নতুন এ সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন। সুদানের যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, সোমবার থেকে সুদানের নাম আর কালো তালিকায় থাকছে না। ৪৫ দিন ধরে কংগ্রেশনাল পর্যালোচনার পর দেশটির বিষয়ে আগের মূল্যায়ন পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানায় দূতাবাস। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশ করা হবে।

সুদানে গত বছর দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল বশিরের পতনের পর বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করছে। কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম প্রত্যাহার এ সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক এজেন্ডা ছিল।

১৯৯৩ সালে আল বশির সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসে পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ তুলে কালো তালিকায় সুদানের নাম যোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর কারণে এতোদিন সুদান ত্রাণ এবং আন্তর্জাতিক বড় দাতাসংস্থাগুলোর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল।