কী কথা হলো জেলেনস্কি-শি’র ফোনালাপে?

Looks like you've blocked notifications!
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ছবিটি রয়টার্স থেকে নেওয়া

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। পরে দুই প্রতিবেশি দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধে, যা এখনও চলমান। এ যুদ্ধে পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সমর্থন দিলেও নিশ্চুপ ছিল চীন। এমনকি প্রকাশ্যে রাশিয়াকে সমর্থনের কথাও জানায়নি তারা। এ যুদ্ধ ১৪ মাসে গড়ানোর পর অবশেষে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। 

ঘণ্টাখানেক সময় ধরে চলা এই ফোনালাপের তাৎপর্যকে বিশাল বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দেশে বেইজিং একজন রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করবে। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।’

ফোন কলের বিষয়টি নিশ্চিত করে চীন বলছে, আমরা সব সময় শান্তির পক্ষে রয়েছি।

প্রতিবেদনে বিবিসি বলছে, রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে পশ্চিমাদের মতো ইউক্রেনকে সমর্থন করছে না চীন। তবে, আগে থেকেই তারা নিরপেক্ষ থাকার কথা বলে আসছে। কিন্তু বেইজিং ও মস্কোর সম্পর্ক লুকিয়ে থাকেনি। গত মাসে মস্কো সফরে গিয়েছিলন শি।

সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিজের অতি ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে সম্বোধন করেছেন শি। এমনকি যুদ্ধ বন্ধে ১২ পয়েন্টের একটি পরিকল্পনা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট, যেখানে এক পয়েন্টে বলা হয়েছে, চীন ইতিহাসকে সমর্থন করবে। তবে, মস্কোকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য কোনো প্রতিশ্রুতি দেননি শি। চীনা প্রেসিডেন্টের মস্কো সফরের পরই শিকে ইউক্রেন সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জেলেনস্কি।

আজকের ফোনালাপে শির উদ্ধৃতি দিয়ে এক বিবৃতিতে চীনা কর্তৃপক্ষ বলছে, একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে চীন কোনো সময় সংঘাত চায় না। এমনকি সংঘাতের আগুনে তেল ঢালবে না ও সঙ্কটের সুযোগ নিবে না।

শি ও জেলেনস্কির এই ফোনালাপকে স্বাগত জানিয়েছে ওয়াশিংটন। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘তাদের শান্তির পদক্ষেপ বা পরিকল্পনা বা প্রস্তাব তাৎপর্যপূর্ণ কি না তা খুব তাড়াতাড়ি বলা যাচ্ছে না।’

লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স বলছে, ফোনালাপে শি জেলেনস্কিকে বলেছেন, ‘চীন ইউক্রেনে বিশেষ প্রতিনিধি পাঠাবে এবং শান্তির জন্য সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে।’ জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে শি বলেছেন, ‘সংলাপ ও আলাপ-আলোচনাই এই যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায়।’